ডিজিটাল পদ্ধতি কোন বিলাসিতার বিষয় নয়, জরুরি। এতে বিদ্যুৎ খাতের লোকসান কমে আসবে, সেবার মান বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর ) রাজধানীর একটি হোটেলে নেসকো আয়োজিত স্মার্ট বিতরণ সিস্টেম সংক্রান্ত এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিদ্যুৎ খাতের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিশাল এলাকা, ভিন্ন ভিন্ন বিতরণ ব্যবস্থা। অনেক কর্মী রয়েছেন যারা ডিজিটালে অভ্যস্ত নয়। নেসকোকে ধন্যবাদ তারা কাজটি শুরু করছেন। আমার বিশ্বাস অন্যান্য বিতরণ কোম্পানি তাদেরকে অনুসরণ করতে পারে। প্রত্যেকদিন আমরা কাজ করছি, কাজ করে যেতে হবে।
একটি সিস্টেম চালু করলাম আর ডিজিটালাইজড হয়ে গেল বিষয়টি এমন না, ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০ বছর আগে বিদ্যুতে সিস্টেম লস ছিল ৪২ শতাংশ, এখন ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি আরও ২ শতাংশ কমে আসবে জিআইএস এর মাধ্যমে। আমরা উদ্ভাবনী ভাবনাকে স্বাগত জানাই। সৌর বিদ্যুতের বিষয়ে আরও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা শতভাগ বিদ্যুতের কাজ শেষ করেছি।এখন মানসম্মত বিদ্যুতের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। দিনদিন উন্নত হচ্ছে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। আমরা স্মার্ট গ্রিডের দিকে যাচ্ছি এতে উন্নত গ্রাহকসেবা নিশ্চিত হবে।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সেবার মান উন্নত হবে জিআইএস সিস্টেমের মাধ্যমে। কোথাও ত্রুটি দেখা দিলে এই সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে কন্ট্রোল রুম ও মেরামতকারি মোবাইল টিমকে বার্তা পৌঁছে দেবে। কোন গ্রাহক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হলে অফিসে বসেই জানা যাবে। এতে করে স্বল্প সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নুরুল আলম, এনআরইসিএ ইন্টারন্যাশনাল এর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ড. ডানিয়েল বি ওয়াডেল বক্তব্য রাখেন।