বিগত প্রায় ৫০ বছরের রেকর্ড ব্রেক করে যে তাপদাহ চলছে তাতে বিদ্যুতের চাহিদা ধারণার চেয়েও বেশি বেড়ে গেছে। ফলে আমাদেরকে অনিচ্ছা সত্ত্বেও লোডশেডিং করতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পাওয়ার সেল'র মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসাইন।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) তার ফেসবুক পোস্টে এমন দাবি করেছেন বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়ন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেল এর মহাপরিচালক।
এতে তিনি লিখেছেন, এ বছর গ্রীষ্ম, সেচ মৌসুম এবং পবিত্র মাহে রমজান একসাথে হওয়াতে বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছবে সেটা আমরা আগেই ধারণা করেছিলাম। সেটা বিবেচনা করে আমরা আমাদের উৎপাদন পরিকল্পনা সাজিয়েছিলাম। আমরা এর স্বাক্ষরও রেখেছি। গতরাতে আমরা ইতিহাসের সর্বোচ্চ ১৫৬০৪ মেগাওয়াট উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি। ইতোপূর্বে আমরা ২০২২ সালের ১৬ এপ্রিল সর্বোচ্চ ১৪৭৮২ মেগাওয়াট উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছিলাম।
লোডশেডিংয়ের কারণে সম্মানিত গ্রাহকদের কষ্ট হচ্ছে। সেজন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আশা করি খুব শীঘ্রই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
তিনি তার নিজ এলাকার বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, বিশেষ করে আমার কাছে আমার হাজিগন্জ -শাহরাস্তিবাসীর প্রত্যাশার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ধৈর্য্য ধারণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি । আশা করি খুব শীঘ্রই আমরা এ পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে পারবো। আপনাদের সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
আসুন আমরা প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হই। এতে চাহিদা কমে আসবে, ফলে লোডশেডিং করার প্রয়োজনীয়তা কমে যাবে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হলে যেমন আপনার বিদ্যুৎ বিল কমে আসবে, পাশাপাশি এটা দেশেরও লাভ।
একইভাবে, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, সম্মানিত গ্রাহকবৃন্দ, এ বছর গ্রীষ্ম, সেচ মৌসুম এবং রোজা একসাথে হওয়াতে বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছবে সেটা আমরা আগেই ধারণা করেছিলাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে আমরা আমাদের পূর্ব প্রস্তুতির স্বাক্ষরও রেখেছি। কিন্তু গত ৫০ বছরের তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙ্গে বর্তমানে যে নজিরবিহীন দাবদাহ চলছে তাতে ধারণার চেয়েও বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেশি বেড়ে গেছে। ফলে দেশের অনেক জায়গায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে। এ অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ভোগের জন্য আমরা আন্তরিক সহমর্মিতা ও দুঃখ প্রকাশ করছি। সেইসাথে সবার অবগতির জন্য জানাতে চাই পরিস্থিতি উত্তরণে বিদ্যুৎ বিভাগ সর্বাত্মক কাজ করছে। খুব শীঘ্রই আবারও স্বস্তিদায়ক পরিবেশ ফিরে আসবে। সম্মানিত গ্রাহকবৃন্দ, ধৈর্যধারণের জন্য আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।