এলপি গ্যাসের দাম বেশি রাখায় শোকজ পাওয়া ৩টি কোম্পানির জবাব আমরা হাতে পেয়েছি। তারা কেউ ভুল স্বীকার করেছেন আবার কেউ কেউ ক্ষমাও চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান নুরুল আমিন।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিইআরসির হল রুমে এলপি গ্যাসের দর ঘোষণার জন্য আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিইআরসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমরা তাদের জবাবগুলো যাচাই-বাছাই করছি। খুব শিগগিরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানতে পারবেন। দাম বেশি রাখায় সাতক্ষীরার একজন ডিলার তার কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।’
তিনি বলেন, ‘অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় গত মাসে এলপি গ্যাসের দামের পরিস্থিতি অনেকটা ভালো দেখা গেছে। বিইআরসি নির্ধারিত দরেই বেচাকেনা হয়েছে। আগের তুলনায় আমরা অনেক কম অভিযোগ পেয়েছি। ভোক্তাদের পক্ষ থেকেও কম আপত্তি উঠেছে। আমাদের বাজার মনিটরিং টিম কাজ করছে তারাও আগের তুলনায় ভালো তথ্য পেয়েছেন।’
বিইআরসির মনিটরিং আরও জোরদার করা হচ্ছে। ভোক্তা অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়ে অভিযান পরিচালনার জন্য বলা হচ্ছে। বর্তমানে দেশের এলপি গ্যাসের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে, কোনো সংকটের সম্ভাবনা নেই। সে কারণে এ মাসে এই সুযোগ নেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘ডিলার ও পরিবেশকদের লাইসেন্সের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই কয়েকজনের নামে লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছে।’
সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় এ মাসে এলপি গ্যাসের কেজি প্রতি ১.৪৮ টাকা বেড়েছে। গত মাসের তুলনায় প্রতি টনে দাম বেড়েছে ৬.৭৫ ডলার। এতে করে ১২ কেজির সিলিন্ডার অক্টোবর মাসের দর ১৩৬৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে খুচরা পর্যায়ে ১৩৮১ টাকা করা হয়েছে। আর অটোগ্যাস লিটার প্রতি ৬৩.৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দর সন্ধ্যা ৬ টা থেকে কার্যকর হবে। কেউ বেশি দাম নিলে আমাদের জানান অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেশি দামে এলপি গ্যাস বিক্রির অভিযুক্ত ইউনাইটেড গ্রুপের আইগ্যাস, ইস্ট কোস্ট গ্রুপের ওমেরা এলপিজি ও টোটাল গ্যাসকে শোকজ করে বিইআরসি। টোটাল ও ইউনাইটেডকে শোকজ করা হয় ১১ জুলাই আর ওমেরাকে চলতি বছরের ২২ মে। ওমেরা এলপিজি গত ৩১ আগস্ট আর টোটাল ও ইউনাইটেড গ্রুপ জবাব দিয়েছে ২০ সেপ্টেম্বর।