গ্রাহকের আস্থা ও বিশ্বাসে সব সূচকে শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ইসলামী ব্যাংক

ইসলামী ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

অধিকাংশ সূচকে দেশের সরকারি-বেসরকারি সব ব্যাংককে ছাড়িয়ে গিয়েছিল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি। কেবল আমানতের দিক থেকে পিছিয়ে ছিল। এবার আমানত পাওয়ার ক্ষেত্রে দেশের এক সময়ের সবচেয়ে বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংককে ছাড়িয়ে গেল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ। গত ডিসেম্বরে ইসলামী ব্যাংকের কাছে আমানতের শীর্ষস্থান হারায় সোনালী ব্যাংক। গত ৬ মাসে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকটির নতুন আমানত বেড়েছে ৬ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। সদ্যসমাপ্ত জুন মাস শেষে ব্যাংকটি এক লাখ ৫৯ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা আমানত পেয়েছে, যা দেশের ব্যাংকিং খাতের মোট আমানতের সাড়ে ৯ শতাংশ।

এছাড়া আমানতের পাশাপাশি ঋণ বিতরণের (বিনিয়োগ) দিক থেকে ইসলামী ব্যাংক এখন দেশের সবচেয়ে বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরে সব সূচকে শীর্ষে অবস্থান করছে এখন ইসলামী ব্যাংক। 

অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসলামী ব্যাংকের সব সূচকে শীর্ষে পৌঁছানোর কারণ ব্যাংকটির প্রতি সাধারণ গ্রাহকদের আস্থা ও বিশ্বাস। ইসলামী ব্যাংকের এ ধরনের আস্থা ও ভাবমূর্তি অর্জন করা বিরাট ব্যাপার বলে মানছেন তারা।

ইসলামী ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৮৩ সালের ৩০ মার্চ। এটি ছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম সুদমুক্ত ব্যাংক। শুরুর দিকে এ ব্যাংকের পথচলা ছিল চ্যালেঞ্জিং। প্রচলিত ব্যাংক ব্যবস্থার বিপরীতমুখী কার্যক্রম নিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করা সহজ ছিল না। কিন্তু প্রতিষ্ঠার প্রথম দশকেই ইসলামী ব্যাংক গ্রাহকদের হৃদয়ে জায়গা করে নেয়। এর পরের দশকগুলোয় এ ব্যাংকের কার্যক্রম ক্রমাগত প্রসারিত হয়েছে।

রেমিটেন্সে শীর্ষে

দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে রেমিটেন্স আয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক। গত ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে রেমিটেন্স এসেছে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা।

এদিকে আমদানি-রপ্তানি, এসএমই, সিএসএমই, শিল্পায়ন, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নসহ প্রতিটি সূচকে ইসলামী ব্যাংকের অবস্থান এখন সবার শীর্ষে।

উদ্যোক্তা সৃষ্টি

ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সময়ে দেশের রপ্তানি খাত ছিল সীমিত। পাট, চামড়াসহ অল্প কিছু পণ্য তখন বিদেশের বাজারে রপ্তানি হতো। তৈরি পোশাক খাতের পরিসরও তখন একেবারে ছোট। সেই সময় দেশের উৎপাদনমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানও ছিল হাতেগোনা। এ অবস্থায় ইসলামী ব্যাংক উদ্যোক্তা তৈরি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও শিল্পায়নে জোর দিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। ইসলামী ব্যাংকের হাত ধরে গড়ে ওঠে একঝাঁক প্রতিশ্রুতিশীল শিল্প উদ্যোক্তা, যারা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অনবদ্য অবদান রেখে চলেছেন।

পোশাক খাতের ভিত্তি তৈরি

বিশেষ করে দেশের তৈরি পোশাক খাতের ভিত্তি তৈরি হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগের মাধ্যমে। দেশের তৈরি পোশাক খাতের বিকাশে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ব্যাক-টু-ব্যাক ঋণপত্র বা এলসি। ইসলামী ব্যাংকের তথ্য মতে, গত জুন শেষে ইসলামী ব্যাংক মোট বিনিয়োগ করেছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা, যা দেশের ব্যাংকিং খাতের প্রায় ১০ শতাংশ। বর্তমানে ১ হাজারের বেশি টেক্সটাইল এবং আরএমজি ইউনিটসহ ৬ হাজারের বেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে।

শিল্প অর্থায়নে প্রায় ৪৫ শতাংশ এবং এসএমই বিনিয়োগের প্রায় ১১ শতাংশ ইসলামী ব্যাংকের। এ ছাড়া দেশের সিএমএসএমই খাতে বিনিয়োগের প্রায় ২৬ শতাংশ ইসলামী ব্যাংকের। ২০২৩ সালে ইসলামী ব্যাংকের আমদানি ছিল ৫৭ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা। গত জুন শেষে ছাড়িয়েছে ৩২ হাজার ২৯২ কোটি টাকা, যা দেশের ব্যাংকিং খাতের ৯ শতাংশ। ২০২৩ সালে ব্যাংকের রপ্তানি ছিল ৩৩ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা। গত জুন শেষে ছাড়িয়েছে ১৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা।

করোনাকালের শুরুতে ইসলামী ব্যাংকের আমানতে বড় উল্লম্ফন ঘটে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বেশি আমানত সংগ্রহ করেছে ইসলামী ব্যাংক। সদ্যসমাপ্ত জুন মাস শেষে ইসলামী ব্যাংকের আমানত ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। যা দেশের ব্যাংকিং খাতের মোট আমানতের সাড়ে ৯ শতাংশ। গত ৬ মাসেই নতুন আমানত বেড়েছে ৬ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের মাধ্যমের সর্বমোট ১৬ হাজার কোটি টাকা আমানত এসেছে ইসলামী ব্যাংকের।

ইসলামী ব্যাংকের প্রতি সাধারণ গ্রাহকদের অন্যরকম আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, কোনো এলাকায় অন্য ব্যাংকের একটি নতুন শাখা খুললে যে পরিমাণ আমানত জমা হয়, ইসলামী ব্যাংকে তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি জমা হয়। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীরা ইসলামী ব্যাংকের হিসাব খুলে এবং ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠিয়ে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। একটি ব্যাংকের জন্য এ ধরনের আস্থা ও ভাবমূর্তি অর্জন করা বিরাট ব্যাপার।

ইসলামী ব্যাংকের তথ্য মতে, দেশব্যাপী সর্বমোট ৩৯৫টি শাখা, ২৫০টি উপশাখা, ২৭৮৩টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৩ হাজার এটিএম ও সিআরএম বুথ স্থাপন করা হয়েছে। পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৬৪ জেলার ৩৩ হাজার গ্রামের প্রায় ১৭ লাখ সদস্যকে আথিক সেবা দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের ৯২ শতাংশই নারী। প্রান্তিক পর্যায়ের ৬ লাখ কৃষক ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকিং করছে। ২০২৩ সালে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বৈদেশিক রেমিটেন্স আহরণের পরিমাণ ছিল ৪৯ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। সদ্যসমাপ্ত জুন শেষে এই আহরণ ছাড়িয়েছে ৩.৯৬ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। যা দেশের মোট ব্যাংকিং খাতের ২৬ শতাংশ। ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে দেশের রেমিটেন্স সুবিধাভোগীর সংখ্যা প্রায় ৮৫ লাখ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইসলামী ব্যাংক ৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি বৈদেশিক রেমিটেন্স আহরণ করেছে। বৈধ পথে রেমিটে›স আহরণে বিশ্বের ২৯টি দেশের ১৪৯টি ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউসের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। রেমিটেন্স আহরণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স আসার পরিমাণ বেড়েছে বলে মনে করেন কর্মকর্তারা।

তারা বলেন, ইসলামী ব্যাংক দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে প্রবাসী আয়ে দেশের ব্যাংকিং খাতে শীর্ষস্থানে রয়েছে। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে নিজস্ব আমদানি ব্যয় পরিশোধের পর এ পর্যন্ত সরকারি রিজার্ভে ১৩ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি যোগ করে অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রেখেছে এই ব্যাংক। বর্তমানে ব্যাংকের মোট গ্রাহকসংখ্যা ২ কোটি ৩৫ লাখ। ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যেম প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের ১ কোটিরও বেশি মানুষের কমসংস্থান হয়েছে।

জানতে চাইলে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অ্যান্ড সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, আমানত, ঋণ বিতরণ (বিনিয়োগ), আমদানি-রপ্তানি, এসএমই, সিএসএমই, শিল্পায়ন, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নসহ প্রতিটি সূচকে ইসলামী ব্যাংকের অবস্থান এখন সবার শীর্ষে। এটি সম্ভব হয়েছে গ্রাহক, ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে শহর কিংবা গ্রামের সব মানুষই ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে সেবা নিচ্ছে।

বর্তমানে আমাদের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৩৫ লাখ।িইর মাধ্যেম প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের ১ কোটিরও বেশি মানুষের কমসংস্থান হয়েছে। যারা প্রবাসে আছেন তারাও ইসলামী ব্যাংকের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সেবা নিচ্ছেন। তিনি বলেন,  আমাদের ‘সেলফিন’ অ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নিয়ে এসেছে এক অ্যাপেই প্রযুক্তিভিত্তিক সকল ব্যাংকিং সমাধান। সেলফিন ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের লেনদেন করা যায়। এর মাধ্যমে যে কোনো ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট, কার্ড বা মোবাইল ওয়ালেট যেমন এমক্যাশ, বিকাশ এবং নগদ-এ তাৎক্ষণিক ফান্ড ট্রান্সফার করা যায়।

রফতানি প্রণোদনা হ্রাস টেক্সটাইল খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে: বিটিএমএ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিটিএমএর সংবাদ সম্মেলন

বিটিএমএর সংবাদ সম্মেলন

  • Font increase
  • Font Decrease

রফতানি প্রণোদনা আরও কমানো সরকারের সিদ্ধান্ত দেশীয় টেক্সটাইল খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, এটা একটা ষড়যন্ত্র। এর মাধ্যমে আমাদের শিল্প খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।

শনিবার (৬ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিটিএমএ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মোহাম্মদ আলী। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিটিএমএর সহসভাপতি ফজলুল হক ও ফায়জুর রহমান।

বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি রফতানির বিপরীতে নতুন করে নগদ সহায়তা কমানোর আদেশ জারি করে। এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে বিটিএমএ সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করে।

মোহাম্মদ আলী বলেন, রফতানি প্রণোদনা ক্রমান্বয়ে কমার কারণে প্রাথমিক বস্ত্র খাত আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাবে। তিনি বলেন. সরকারকে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস সেক্টরের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি রোডম্যাপ প্রণয়ন করতে হবে যাতে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) ক্যাটাগরি থেকে স্নাতক হওয়ার পরেও দেশীয় শিল্প টিকে থাকতে পারে এবং ভালভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে কারণ অন্যান্য প্রতিযোগী দেশগুলো ইতিমধ্যে এই ধরনের পরিকল্পনা তৈরি করেছে।

উদাহরণস্বরূপ, ভারত ২০০৪ সালে এলডিসি গ্রুপ থেকে একটি উন্নয়নশীল দেশে স্নাতক হয়েছে এবং এখনও সরাসরি নগদ ভর্তুকির বিকল্প হিসেবে টেক্সটাইল এবং পোশাক খাতের বৃদ্ধির জন্য প্রচুর প্রণোদনা দিচ্ছে, বলেন তিনি।

বিটিএমএ সভাপতি বলেন, প্রতি অর্থবছরে বস্ত্র ও পোশাাক খাতে রফতানির বিপরীতে মাত্র ৮ হাজার কোটি টাকা নগদ প্রণোদনা দেয় সরকার। এটি দেশের প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার জাতীয় বাজেটের তুলনাই খুবই সামান্য। এর বিপরীতে বিপুল পরিমাণ রফতানি আয়ে অবদান রাখছে বস্ত্র ও পোশাক খাত। কিন্তু সম্প্রতি বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাতে রফতানির বিপরীতে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা ব্যাপকভাবে কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটা বাস্তবায়িত হলে তা এ দুটি খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

তিনি বলেন, গত তিন বছরের বেশি সময় ধরে জ্বালানি সংকটের কারণে স্বাভাবিক উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে গত কয়েক মাস যাবত তীব্র গ্যাস সংকটের কারণে কারখানাগুলো তাদের উৎপাদন ক্ষমতার ৪০-৫০ শতাংশের বেশি ব্যবহার করতে পারছে না। ফলে সুতা ও কাপড় উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমেছে। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এতে প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে এ খাতের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা নষ্ট হচ্ছে। এর প্রভাব তৈরি পোশাক রফতানিতে দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে বস্ত্রশিল্পে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় বাজারও বিদেশিদের হাতে চলে যাচ্ছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এক কিলোগ্রাম সুতার উৎপাদন খরচের ব্যবধান ২২ সেন্ট কারণ ভারতীয় সুতা প্রস্তুতকারকরা উন্নয়নশীল দেশ হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্নভাবে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়। বাংলাদেশে প্রতিবছর সুতার মোট চাহিদার ১৩ শতাংশ আসে ভারত থেকে, বলে জানান তিনি।

;

‘মৃতঘোড়া’য় রূপ নিচ্ছে কি এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
‘মৃতঘোড়া’য় রূপ নিচ্ছে কি এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন!

‘মৃতঘোড়া’য় রূপ নিচ্ছে কি এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন!

  • Font increase
  • Font Decrease

আবাসিকে মিটারবিহীন গ্রাহকদের গ্যাসের দাম বাড়ানো প্রশ্নে স্রেফ সময়ক্ষেপণ ছাড়া আর কিছুই করতে পারছে না বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

সূত্র বলছে, সরকারের ভয়েই এমন একটি অমূলক আবেদন সরাসরি বাতিল করতে পারছে না নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। বরং ঝুলিয়ে রেখেছে বছরাধিক কাল ধরে। অথচ এব্যাপারে দালিলিক নথিপত্র বলছে এখনই এই দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই। এতে উভয় সঙ্কটে পড়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারছে না বিইআরসি। এই অহেতুক কালক্ষেপণকে নজিরবিহীন বলছেন জ্বালানি বিভাগ সংশ্লিষ্টরা। এমনকি বিষয়টিকে বেআইনিও বলছেন তারা। কারণ দাম বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতে না পারায় এক বছর ধরে মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকের গ্যাস বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানোর আবেদনটিও ঝুলিয়ে রেখেছে বিইআরসি।

দীর্ঘদিন এভাবে আবেদন ঝুলিয়ে রাখার সুযোগ নেই। হয় গ্রহণ করবে না হয়, বাতিল করে দেবে। এহেন সিদ্ধান্তহীনতা বিইআরসির জন্য আত্মঘাতি হতে পারে বলেই মত সংশ্লিষ্টদের।

তারা বলছেন, এতে করে বিইআরসি অকার্যকর হয়ে পড়বে। এক সময় ‘মৃত ঘোড়ায়’ পরিণত হবে সংস্থাটি!

যার মোক্ষম সুযোগটি তারাই নেবে যারা বিইআরসিকে অকার্যকর করে রাখতে চায়। এই ঘটনার নজীর টেনে তারা বলার বলার সুযোগ পাবে, বিইআরসির সক্ষমতা নেই। তারা সহজেই বলতে পারবে বিইআরসি সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। যে ঢাল ব্যবহার করে এর আগেও বিইআরসি আইনকে কাটাছেঁড়া করা হয়েছে।

দেশে বর্তমানে মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকের কাছ থেকে নির্ধারিত পরিমাণ গ্যাসের বিল আদায় করা হয়। গ্রাহক ব্যবহার করুক, না করুক অথবা বেশি ব্যবহার করলেও নির্ধারিত বিলই তাকে দিতে হয়।

এ অবস্থায় তিতাস গ্যাস বিদ্যমান এক চুলাবিশিষ্ট সংযোগে ৫৫ ঘনমিটার (৯৯০ টাকা) বরাদ্দ থেকে বাড়িয়ে ৭৬.৬৫ ঘনমিটার করার এবং দুই চুলাবিশিষ্ট সংযোগে ৬০ ঘনমিটার (১০৮০ টাকা) বরাদ্দ থেকে বাড়িয়ে ৮৮.৪৪ ঘনমিটার করার আবেদন দিয়েছে।

গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই দামও বেড়ে যাওয়ার কথা। বিইআরসি সর্বশেষ গ্যাসের দাম বৃদ্ধির আদেশ দেয় ২০২২ সালের ৫ জুন। ওই আদেশ দেওয়ার আগে মার্চে গণশুনানি নেয়। তখন বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারি গ্রাহকদের পরিসংখ্যানে দেখা যায় গড়ে এক চুলা ৪০ এবং দুই চুলা সর্বোচ্চ ৫০ ঘনমিটার ব্যবহার করছে। প্রিপেইড গ্রাহকের ব্যবহারের পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে এক চুলা ৭৩.৪১ ঘনমিটার ও দুই চুলা ৭৭.৪১ ঘনমিটার থেকে কমিয়ে যথাক্রমে ৫৫ ও ৬০ ঘনমিটার করা হয়। বিইআরসির সেই আদেশের ১০ মাস পর আপত্তি জানায় তিতাস। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি তার আবেদনে বলেছে, মিটারবিহীন কমবেশি ২৫ লাখ গ্রাহকের বিপরীতে কোনো সমীক্ষা বা তথ্য বিশ্লেষণ না করেই গ্যাস বরাদ্দের পরিমাণ নির্ধারণ করেছে বিইআরসি। এতে কারিগরি ক্ষতি বেড়েছে এবং সরকারি লাভজনক প্রতিষ্ঠান তিতাস আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

বিইআরসির সাবেক সদস্য (গ্যাস ২০২২) মকবুল ই-এলাহী চৌধুরী বার্তা২৪কমকে বলেছেন, তিতাস গ্যাসের অভিযোগ সত্য নয়। তার মতে, এই বরাদ্দ ৫০ ঘনমিটারের নিচে করা উচিত ছিল।

মকবুল চৌধুরী বলেন, তিতাসের যে সাড়ে ৩ লাখ প্রিপেইড মিটার ছিল সেখানে দেখা গেছে গড়ে ৪৫ ঘনমিটারের কম ব্যবহৃত হয়েছে। প্রিপেইড মিটারের বিলের তথ্য দেখলেই তা জানা যায়। বিষয়টির জন্য রকেট সায়েন্স জানা দরকার হয় না।

সারাদেশে প্রায় ৪৪ লাখ আবাসিক গ্রাহক রয়েছে, তার মধ্যে ৫ লাখের মতো প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করেন। প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারিদের তথ্য প্রমাণ কোনভাবেই গ্যাস কোম্পানিগুলোর দাবিকে সমর্থন করে না। বেশিরভাগ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে গড়ে ৩০ ঘনমিটারের কম গ্যাস ব্যবহার করছেন প্রিপেইড গ্রাহকরা। হাতের নাগালে সেসব তথ্য জ্বলজ্বল করছে। শুধু সেই পরিসংখ্যান নয় ২০১৯ সালে বিআইডিএসকে (বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান) দিয়ে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে বিইআরসি। মূল লক্ষ্য ছিল আবাসিকে প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারি ও মিটার বিহীন গ্রাহকদের গ্যাস ব্যবহারের একটি চিত্র তুলে আনা।

এতে দেশের ৬টি কোম্পানির গ্রাহকের উপর জরিপ পরিচালনা করা হয়। সেই রিপোর্টও হাতে রয়েছে বিইআরসির।

যদিও রিপোর্টটি রহস্যজনক কারণে চাপা দিয়ে রেখেছে সংস্থাটি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর ওই প্রতিবেদনটি দাখিল করেন বিআইডিএস এর সিনিয়র রিসার্স ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ ও তার টিম। ওই রিপোর্টে ছোট পরিবার, বড় পরিবার, বিতরণ কোম্পানি ভেদে ব্যবহারের তারতম্য এমনকি মিটার ও ননমিটারের মধ্যেও পার্থক্য তুলে ধরা হয়েছে।

১৩ জেলার ১০৫৪ আবাসিক গ্রাহকের উপর পরিচালিত সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে, একক চুলার প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকরা ৩৫.৫ ঘনমিটার ও দুই চলার গ্রাহকরা ৫৯.৩ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করছে। গড়ে ৫৭.৯ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করেছেন মিটার ব্যবহারকারিরা। আর ননমিটার গ্রাহকরা গড়ে ৫৬ মিটার গ্যাস ব্যবহার করেছেন। এতো এতো সব তথ্য থাকার পরও ৩৯ লাখ মিটারবিহীন গ্রাহকদের পকেট কাটার উদ্যোগ নিয়েছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। আর সবকিছু জানার পরও আবেদনটি বাতিল করার সাহস দেখাতে পারছে না বিইআরসি।

অতীতে অসম্পুর্ণ এবং অন্যায্য প্রস্তাব কমিশনের বৈঠকেই বাতিল করার অনেক নজীর রয়েছে। কিন্তু এখন ধরে রেখে অযথাই বিতর্কের পথে হাটছে কমিশন। আগে কখনও ১ বছর ধরে কোন দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব ঝুলে রাখার নজীর নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

তিতাস গ্যাসের ওই আবেদন বিলম্বিত হওয়া প্রসঙ্গে বিইআরসির চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, তাদের আবেদনে কিছু কাগজপত্র ঘাটতি থাকায় জমা দিতে বলা হয়। তারা দিতে বিলম্ব করেছে যে কারণে সময় লেগেছে। এরপর পরিচালক গ্যাসকে সদস্য করে একটি কমিটি করে দেওয়া হয় যারা যাচাই-বাছাই করে রিপোর্ট দেন। ওই রিপোর্ট নিয়ে কাজ চলছে।

এক বছর ধরে ঝুলে রাখায় আইনগত দিক জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন ব্যতিত হয়নি বলে দাবি করেন।

কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, সরকারের ভয়েই সিদ্ধান্তহীনতায় বিইআরসি। কমিশনের ভয়ের একটি বড় কারণ হচ্ছে মাত্র যখন পাখনা গজাচ্ছিল তখনই বিইআরসির ডানা কেটে খাঁচায় বন্দি করে সরকার। ২০২৩ সালে আইন সংশোধন করে নির্বাহী আদেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এতে কার্যত বেকার হয়ে পড়েছে আধাবিচারিক প্রতিষ্ঠানটি। কেউ কেউ কমিশনকে এখন মৃত ঘোড়া বলতেও ছাড়ছেন না।

২০০৩ সালে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন পাশের মাধ্যমে নিরপেক্ষ ও আধাবিচারিক স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠিত হয় বিইআরসি। গ্যাস ও বিদ্যুতের বিতরণ কোম্পানিগুলোর জবাবদিহিতা এবং ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গঠিত এই কমিশন মূলত ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করে। এ পর্যন্ত ১১টি প্রবিধানমালা প্রণয়ন করেছে। আর ১২টি প্রবিধানমালা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আইনে সকল ধরণের জ্বালানির দাম নির্ধারণের এখতিয়ার দেওয়া প্রবিধানমালা ঝুলে থাকায় শুধুমাত্র গ্যাসের গ্রাহক পর্যায়ে এবং বিদ্যুতের পাইকারি ও গ্রাহক পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করে আসছিল বিইআরসি। জ্বালানি তেলের দাম বরাবরেই নির্বাহী আদেশে দিয়ে আসছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। যার দায়িত্ব কখনোই নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির হাতে আসেনি।

;

বার্তা২৪.কম’র অফিস পরিদর্শনে অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পরিদর্শনকালে অধ্যাপক আইনুল ইসলামের হাতে বার্তা২৪.কম’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সাময়িকী ‘সপ্তবর্ণ’ তুলে দেওয়া হয়, ছবি: নূর এ আলম

পরিদর্শনকালে অধ্যাপক আইনুল ইসলামের হাতে বার্তা২৪.কম’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সাময়িকী ‘সপ্তবর্ণ’ তুলে দেওয়া হয়, ছবি: নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের শীর্ষ মাল্টিমিডিয়া নিউজপোর্টাল বার্তা২৪.কম’র অফিস পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম।

শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বাংলামটরস্থ বার্তা২৪.কম অফিসে তিনি এলে পরিকল্পনা সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ও চিফ অব করেসপন্ডেন্ট সেরাজুল ইসলাম সিরাজ তাকে স্বাগত জানান।

অধ্যাপক আইনুল ইসলাম বার্তা২৪.কমের নিউজরুম ঘুরে দেখেন এবং বার্তাকক্ষের কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বার্তা২৪.কমকে ‘তারুণ্যনির্ভর’ ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম আখ্যায়িত করে এর সংবাদ আয়োজনের প্রশংসা করেন বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ। এসময় যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী বীরপ্রতীক অধ্যাপক আইনুল ইসলামের সঙ্গে ছিলেন।

অধ্যাপক আইনুল ইসলাম পরিদর্শনকালে বাংলাদেশের সমকালীন অর্থনীতির সংকট ও সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক নিয়ে বার্তা২৪.কমের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।

ছবি: নূর এ আলম 

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে অর্থনীতিতে যে সংকট আছে তাকে স্বীকার করে নিয়ে আমাদের উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে, সংকটের সঙ্গে আমাদের অনেক সম্ভাবনাও আছে। গণমাধ্যমকে সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।’

রেমিট্যান্স ও কৃষি খাতকে বাংলাদেশের অর্থনীতির গতিপ্রবাহের প্রাণ আখ্যা দিয়ে এই দুই খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে আরও জোরাল পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।

পরিদর্শনকালে স্পোর্টস বাংলা’র নির্বাহী সম্পাদক আপন তারিক, নিউজরুম কো-অর্ডিনেটর ও স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট মানসুরা চামেলী, বার্তা২৪.কমের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর আশিস বিশ্বাস, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর ও কান্ট্রি ইনচার্জ হ্যাপি রাংসাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শনকালে অধ্যাপক আইনুল ইসলামের হাতে বার্তা২৪.কম’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সাময়িকী ‘সপ্তবর্ণ’ তুলে দেওয়া হয়। বার্তা২৪.কম টিমের হাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মারক উপহার দেন ড. আইনুল ইসলাম।

;

সরকারের শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ৩.৯৩ কোটি টাকা দিল ওয়ালটন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী’র হাতে চেক হস্তান্তর করেন

সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী’র হাতে চেক হস্তান্তর করেন

  • Font increase
  • Font Decrease

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে ৩ কোটি ৯৩ লাখ ৬৫ হাজার ৪৪৬ টাকা জমা দিয়েছে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ‘ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাষ্ট্রিজ পিএলসি’।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) মো. নজরুল ইসলাম সরকারের নেতৃত্বে ৯-সদস্যের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী’র হাতে চেক হস্তান্তর করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলী, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শরিফ হারুনুর রশিদ ও মো. সাদেকুর রহমান, অ্যাডিশনাল এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হাফিজ উল্যাহ, ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর মিনহাজ উদ্দিন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী প্রতি বছর কোম্পানির করপূর্ব মোট লাভের ৫ শতাংশ ওয়ার্কারস প্রফিট পার্টিসিপেশন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ফান্ডের (ডব্লিউপিপিএফ) মাধ্যমে কর্মীদের মাঝে সমভাবে বন্টন করছে ওয়ালটন। পাশাপাশি সরকারের শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে উক্ত লাভের নির্দিষ্ট অংশ জমা দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী ২০২২-২৩ হিসাব বছরে ওয়ালটন পরিবারের প্রত্যেক সদস্য প্রফিট শেয়ারিং ফান্ড থেকে করবাদ ১৯ হাজার ৮৩৮ টাকা করে পেয়েছেন। এর মধ্যে করবাদ ১১ হাজার ৯০৩ টাকা তাৎক্ষণিক প্রদান করা হয়। বাকি অর্থ ডব্লিউপিপিএফ এ রিটেনশন করা আছে। আর সরকারের শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে ৩ কোটি ৯৩ লাখ ৬৫ হাজার ৪৪৬ টাকা প্রদান করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ওয়ার্কারস প্রফিট পার্টিসিপেশন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ফান্ডে মোট ৩৯ কোটি ৩৬ লাখ ৫৪ হাজার ৪৬৪ টাকা দিয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি।

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর হাতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফাউন্ডেশন তহবিলে জমা দেয়া ৩ কোটি ৯৩ লাখ ৬৫ হাজার ৪৪৬ টাকার চেক হস্তান্তর করছেন ওয়ালটনের ঊতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

;