ব্লু ইকোনমির সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ, পরিমিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে আগামী অর্থবছরে সুনীল অর্থনীতিতে ১০০ কোটি টাকা ব্যয় করবে সরকার।
‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ শিরোনামে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ প্রস্তাব করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সামুদ্রিক খনিজ ও অন্যান্য সম্পদের আহরণ এবং এর সুষ্ঠু ব্যবহারের গুরুত্ব বিবেচনায় সুনীল অর্থনীতি খাতে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য এই বরাদ্দ প্রস্তাব করছি।
তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে এবং বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশের উৎপাদন-বণ্টন চুক্তির আলোকে বিদ্যমান 'অফশোর মডেল- পিএসসি২০১৯'কে আরও আকর্ষণীয় করে বাংলাদেশ অফশোর মডেল প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট (পিএসসি)- ২০২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এই চুক্তির অধীনে, ‘বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড-২০২৪’ অগভীর সাগরের ৯টি ব্লক এবং গভীর সমুদ্রের ১৫টি ব্লকে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য আন্তর্জাতিক কোম্পানি নিয়োগের কাজ শুরু হয়েছে।
চলতি বছরের মধ্যেই গভীর ও অগভীর সমুদ্রের জন্য পিএসসি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করে তিনি বলেন, ব্লু ইকোনমি সেল সামুদ্রিক খনিজ ও অন্যান্য সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য নীল অর্থনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রম সমন্বয় করতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীনে কাজ করছে।
সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ ও এর ন্যায্য ব্যবহারের গুরুত্ব বিবেচনা করে এই খাতে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য ১০০ কোটি টাকা প্রস্তাব করছি।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এবার ঘাটতিই থাকবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এই বিশাল পরিমাণ ঘাটতি পূরণে কয়েকটি খাতকে উৎস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ব্যাংকিং খাত। এই খাত থেকে মোটা দাগে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য বিদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ১ লাখ কোটি টাকার প্রকল্প ঋণও রয়েছে। এর পাশাপাশি ব্যাংকবহির্ভূত খাত হিসেবে বিবেচিত সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া হবে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এনবিআরকে রাজস্ব আয়ের টার্গেট দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। নন-এনবিআর থেকে আসবে আরও ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর কর ব্যতীত প্রাপ্তির টার্গেট থাকছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।