২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেটে বেশি আয় করা ব্যক্তিদের ওপর করের হার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে যেসব ব্যক্তিদের আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকার মধ্যে তারা করমুক্তই থাকছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার প্রথম বাজেট।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চলতি অর্থবছরে সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত রেখে তার পরবর্তী এক লাখ টাকা অর্থ্যাৎ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার ওপর ৫ শতাংশ আয়কর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এর পরবর্তী ৪ লাখ টাকার অর্থ্যাৎ ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার ওপর ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকায় অর্থ্যাৎ ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার ওপর ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকায় অর্থ্যাৎ ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার ওপর ২০ শতাংশ, পরবর্তী ২০ লাখ টাকায় অর্থ্যাৎ ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার ওপর ২৫ শতাংশ এবং বাকি আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ কর ধার্য করা হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত রেখে তার পরবর্তী এক লাখ টাকার ওপর ৫ শতাংশ, এর পরবর্তী ৩ লাখ টাকায় ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৪ লাখ টাকায় ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকার ওপর ২০ শতাংশ ও বাকি আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ আয়কর ছিলো।
এর আগে, প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনে দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাজেটে সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর দেন।
অর্থমন্ত্রী যে বাজেট বক্তব্য দেন তার শিরোনাম দেওয়া হয়েছে- ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার।’
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এবার ঘাটতিই থাকবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এই বিশাল পরিমাণ ঘাটতি পূরণে কয়েকটি খাতকে উৎস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ব্যাংকিং খাত। এই খাত থেকে মোটা দাগে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য বিদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ১ লাখ কোটি টাকার প্রকল্প ঋণও রয়েছে। এর পাশাপাশি ব্যাংকবহির্ভূত খাত হিসেবে বিবেচিত সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া হবে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এনবিআরকে রাজস্ব আয়ের টার্গেট দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। নন-এনবিআর থেকে আসবে আরও ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর কর ব্যতীত প্রাপ্তির টার্গেট থাকছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।