তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমানো এবং এই খাত থেকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেট, তামাক এবং তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
অর্থমন্ত্রী বাজেট প্রস্তাবনায় বলেন, তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমানো এবং রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে তামাক ও তামাকজাত পণ্যের ক্ষেত্রে বাড়তি কর আরোপ করার প্রস্তাব করছি।
এক্ষেত্রে সিগারেটের নিম্নস্তরের দশ শলাকার মূল্যস্তর ৫০ টাকা, তদুর্ধ্ব এবং সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ ধার্য করা হতে পারে। মধ্যম স্তরের দশ শলাকার মূল্যস্তর ৭০ টাকা ও তদুর্ধ্ব অথবা উচ্চ স্তরের দশ শলাকার মূল্যস্তর ১২০ টাকা, তদুর্ধ্ব এবং অতি-উচ্চ স্তরের দশ শলাকার মূল্যস্তর ১৬০ টাকা, তদুর্ধ্ব এবং এই তিনটি স্তরের সম্পূরক শুল্ক ৬৫.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হবে। এতে বাড়তে পারে সব ধরনের সিগারেটের দাম।
একইসঙ্গে বিড়ি বা সিগারেটের পেপারের স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাটের হার সাড়ে সাত থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে প্রতি দশ গ্রাম জর্দার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৪৮ টাকা এবং প্রতি দশ গ্রাম গুলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাবনাও দেওয়া হয়েছে।