২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেটে কর ন্যায্যতা বৃদ্ধির জন্য উপাসনালয়সহ বিশেষ কিছু প্রতিষ্ঠানের গাড়ির অগ্রিম কর পরিশোধ হতে অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার প্রথম বাজেট।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে কর ন্যায্যতা বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাবের তালিকায় বিশেষ কিছু প্রতিষ্ঠান যেমন এতিমখানা, অনাথ আশ্রম ও ধর্মীয় উপাসনালয়ের গাড়ির অগ্রিম কর পরিশোধ হতে অব্যাহতি প্রদান করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ সময় কর ন্যায্যতা বৃদ্ধির জন্যে আরো প্রস্তাব করা হয়, উত্তরাধিকার, উইল, অছিয়ত এবং অবাতিলযোগ্য কোনো ট্রাস্টমূলে কোনো পরিসম্পদ অর্জিত হলে তা সুস্পষ্টভাবে করমুক্ত করা,এনজিও বিষয়ক ব্যুরো কর্তৃক অনুমোদিত কোনো ব্যক্তি কর্তৃক গৃহীত যেকোনো দান বা অনুদান করমুক্ত করা, কোনো দাতব্য ট্রাস্টের সুবিধাভোগী বা তহবিলের অংশগ্রহণকারী কর্তৃক ট্রাস্ট বা তহবিলের আয়ের অংশ হইতে প্রাপ্ত আয়ের অংশ (দান বা অনুদান ব্যতীত) যার উপর উক্ত ট্রাস্ট বা তহবিল কর্তৃক কর পরিশোধ করা হয়েছে তা করমুক্ত করা।
এর আগে, প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনে দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাজেটে সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর দেন।
এবারের অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে- ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার।’
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এবার ঘাটতিই থাকবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এই বিশাল পরিমাণ ঘাটতি পূরণে কয়েকটি খাতকে উৎস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ব্যাংকিং খাত। এই খাত থেকে মোটা দাগে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য বিদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ১ লাখ কোটি টাকার প্রকল্প ঋণও রয়েছে। এর পাশাপাশি ব্যাংকবহির্ভূত খাত হিসেবে বিবেচিত সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া হবে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এনবিআরকে রাজস্ব আয়ের টার্গেট দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। নন-এনবিআর থেকে আসবে আরও ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর কর ব্যতীত প্রাপ্তির টার্গেট থাকছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।