২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তির (আইসিটি) ১৯টি খাত করমুক্তের আওতায় থাকছে।
‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ শিরোনামে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে দেশীয় ব্যবসা থেকে আয় ও ব্যক্তিপর্যায়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্বল্পসময়ের মধ্যে ক্যাশলেস করার শর্তে এ খাতগুলো করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে যেসব খাত
>> এআই বেজড সলিউশন ডেভেলপমেন্ট
>> ব্লকচেইন বেজড সলিউশন ডেভেলপমেন্ট
>> রোবোটিকস প্রসেস আউটসোর্সিং
>> সফটওয়্যার অ্যাজ অ্যা সার্ভিস
>> সাইবার সিকিউরিটি সার্ভিস
>> ডিজিটাল ডাটা এনালাইটিকস ও ডাটা সাইয়েন্স
>> মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস
>> সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও কাস্টমাইজেশন
>> সফটওয়্যার টেস্ট ল্যাব সার্ভিস
>> ওয়েব লিস্টিং, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ও সার্ভিস
>> আইটি সহায়তা ও সফটওয়্যার মেইনটেন্যান্স সার্ভিস
>> জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিস
>> ডিজিটাল অ্যানিমেশন ডেভেলপমেন্ট
>> ডিজিটাল গ্রাফিকস ডিজাইন
>> ডিজিটাল ডেটা অ্যান্ট্রি ও প্রসেসিং
>> ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ও ই-পাবলিকেশন
>> আইটি ফ্রিল্যান্সিং
>> কল সেন্টার সার্ভিস
>> ডকুমেন্ট কনভারশন, ইমেজিং ও ডিজিটাল আর্কাইভিং
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এবার ঘাটতিই থাকবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এই বিশাল পরিমাণ ঘাটতি পূরণে কয়েকটি খাতকে উৎস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ব্যাংকিং খাত। এই খাত থেকে মোটা দাগে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য বিদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ১ লাখ কোটি টাকার প্রকল্প ঋণও রয়েছে। এর পাশাপাশি ব্যাংকবহির্ভূত খাত হিসেবে বিবেচিত সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া হবে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এনবিআরকে রাজস্ব আয়ের টার্গেট দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। নন-এনবিআর থেকে আসবে আরও ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর কর ব্যতীত প্রাপ্তির টার্গেট থাকছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।