সংসদ সদস্য কর্তৃক গাড়ি আমদানিতে সকল প্রকার শুল্ক কর অব্যাহতি বিদ্যমান থাকলেও চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমদানি শুল্ক এবং মূসক বাবদ ৪০ শতাংশ কর ধার্য করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনে আয়োজিত ‘মূল্যস্ফীতি আর দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেট পেশ করে এসব জানান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
সংসদ সদস্যগণ কর্তৃক গাড়ি আমদানিতে সকল শুল্ক কর অব্যাহতি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ২৩৮/২০১০ এর সংশোধনের বিষয় উপস্থাপন করে বলা হয়, সংসদ সদস্যগণ কর্তৃক গাড়ি আমদানিতে সকল প্রকার শুল্ক কর অব্যাহতি বিদ্যমান রয়েছে। উক্ত কর অব্যাহতি সুবিধা কিছুটা হ্রাস করে কেবল আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ এবং মূসক ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে অন্যান্য সকল শুল্ক-করাদির অব্যাহতি সুবিধা বহাল রাখার প্রস্তাব করছি।
এ লক্ষ্যে বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন এস.আর.ও. নং ২৩৮/২০১০ বাতিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করার সুপারিশ করছি।
এদিকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে, প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনে দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাজেটে সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর দেন।
অর্থমন্ত্রী যে বাজেট বক্তব্য দেবেন তার শিরোনাম দেওয়া হয়েছে- ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার।’
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এবার ঘাটতিই থাকবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এই বিশাল পরিমাণ ঘাটতি পূরণে কয়েকটি খাতকে উৎস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ব্যাংকিং খাত। এই খাত থেকে মোটা দাগে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য বিদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ১ লাখ কোটি টাকার প্রকল্প ঋণও রয়েছে। এর পাশাপাশি ব্যাংকবহির্ভূত খাত হিসেবে বিবেচিত সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া হবে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এনবিআরকে রাজস্ব আয়ের টার্গেট দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। নন-এনবিআর থেকে আসবে আরও ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর কর ব্যতীত প্রাপ্তির টার্গেট থাকছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।