২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিলাসী পণ্য বিবেচনা করে এয়ারকন্ডিশনের (এসি) ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এতে গরমে স্বস্তি দেওয়া এসির বাজার গরম হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার প্রথম বাজেট। এবারের বাজেটর শিরোনাম দেওয়া হয়েছে- ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার।’
সংসদে অর্থমন্ত্রী বলেন, এয়ারকন্ডিশনার (এসি) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন অনুসারে রেয়াতি হারে কম্প্রেসার আমদানি করতে পারে। এসি স্বল্প আয়ের জনগণ ব্যবহার করে না বিধায় এর আমদানি শুল্কে রেয়াতি হার প্রত্যাহার করার সুপারিশ করছি। এছাড়া বর্তমানে দেশে রেফ্রিজারেটর উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কম্প্রেসার উৎপাদন হয় বিধায় এ ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন হতে কম্প্রেসর প্রত্যাহার করার সুপারিশ করছি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত বিভিন্ন প্রকার স্টিল সিট এর আমদানি শুল্ক ৫% হতে বৃদ্ধি করে ১০% নির্ধারণ করার সুপারিশ করছি। এছাড়া একই প্রজ্ঞাপনে যে সকল পণ্যে আমদানি শুল্ক ১০% নির্ধারিত রয়েছে উক্ত পণ্যসমূহের আমদানি শুল্ক ১০% হতে বৃদ্ধি করে ১৫% নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনে দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাজেটে সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর দেন।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এবার ঘাটতিই থাকবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এই বিশাল পরিমাণ ঘাটতি পূরণে কয়েকটি খাতকে উৎস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ব্যাংকিং খাত। এই খাত থেকে মোটা দাগে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য বিদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ১ লাখ কোটি টাকার প্রকল্প ঋণও রয়েছে। এর পাশাপাশি ব্যাংকবহির্ভূত খাত হিসেবে বিবেচিত সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া হবে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এনবিআরকে রাজস্ব আয়ের টার্গেট দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। নন-এনবিআর থেকে আসবে আরও ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর কর ব্যতীত প্রাপ্তির টার্গেট থাকছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।