গত বছরের তুলনায় ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে (অর্থাৎ একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পরের মাস) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের লেনদেন বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।
বিদায়ী এ মাসে ডিএসইতে দিনে লেনদেন হয়েছে পৌনে ১ হাজার কোটি টাকার করে। এর আগের বছরের একই সময়ে ছিলো ৪৩৭ কোট টাকা করে। লেনদেন বাড়ায় বাজার থেকে তারল্য সংকট দূর হতে চলছে। পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ বাড়ছে। তারাও বিনিয়োগে ফিরছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনের ইস্যুতে গত বছরের অক্টোবরের পর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বেশির ভাগ সময়ে দরপতন হয়েছিলো। ফলে সেই সময় লেনদেন নেমে এসেছিলো ৩-৪শ কোটি টাকার কোটায়। বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্ট সবাইর একটা শঙ্কা ছিলো নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার তৈরি হতে পারে।
তবে গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হওয়ার পর সেই প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়। বড় ধরনের হাঙ্গামা ছাড়াই নির্বাচন হয়েছে। নয় সরকারের নেতৃত্বে দেশ চলছে। আর তাতে নতুন পুঁজিবাজারের প্রত্যাশায় দেশি বিনিয়োগকারীর পাশাপাশি বিদেশিরা আসছে শুরু করেছে। ফলে জানুয়ারি মাসে বিদেশিদের লেনদেনে বেড়েছে ৩৭ শতাংশের বেশি।
ডিএসইর তথ্য মতে, জানুয়ারির মোট ২৩ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে বেশির ভাগ দিন সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী মাসে ডিএইতে প্রতিদিন গড়ে ৯৭২কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই হিসেবে জানুয়ারি মাসে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২২ হাজার ৩৫৬কোটি টাকা।
একই বাজারে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে মোট ২৩ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিলো। সেই সময় মোট ১০ হাজার ৭২ কোটি ১৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিলো। যার গড় ছিলো মাত্র ৪৩৭কোটি ৯২ লাখ টাকা। তবে ২০১৭ সালের প্রথম মাসে লেনদেন হয়েছিলো ২৭ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী বলেন, নির্বাচনের আগে এক ধরনের রাজনৈতিক শঙ্কা ছাড়াই, শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়েছে। নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে এ কারণে দেশিদের পাশাপাশি বিদেশিরাও শেয়ার কেনা বাড়িয়েছেন। ফলে লেনদেন বাড়ছে।