বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চাইলেন মেনন

পুঁজিবাজার, অর্থনীতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 23:11:58

পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে খায়রুল হোসেনের নিয়োগপত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। একই সঙ্গে তার পদত্যাগের দাবি তুলেছেন তিনি।

রাশেদ খান মেনন বলেন, আইন লঙ্ঘন করে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে খায়রুল হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাই আমি খায়রুল হোসেনের পদত্যাগসহ বিনিয়োগকারীদের ১২ দফা দাবির সাথে একমত প্রকাশ করছি। আগামী বাজেটের আগেই বিএসইসিতে পরিবর্তন দেখতে চাই।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে ‘বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ’ -এর প্রতীকী গণঅনশন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, সংসদে প্রশ্নোত্তরে অর্থমন্ত্রী স্বীকার করেছেন- পুঁজিবাজারে সংকট আছে। পুঁজিবাজারে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সংসদে সত্য কথা বলায় আমি অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, সমস্যা যখন সৃষ্টি হয়, তার সমাধান আছে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন- আগামী বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য প্রণোদনা দেওয়া হবে। এই প্রণোদনা কী হবে, সেটা যদি বিস্তারিত বলেন, তাহলে ভালো। আগামী ১৩ জুন বাজেট আসবে। আমি আশা করব, ওই বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য কী প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তার বিবরণ থাকবে।

খায়রুল হোসেন পরপর তিনবার বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে কীভাবে থাকেন, প্রশ্ন তোলেন রাশেদ খান মেনন।

তিনি বলেন, আগামী জুন মাসে বাজেটের আগেই বিএসইসিতে পরিবর্তন দেখতে চাই। কারণ আপনারা আইন ভঙ্গ করেছেন। আমরা পার্লামেন্টে আইন করেছি, আপনারা সেই আইন ভঙ্গ করেছেন।

মেনন বলেন, গত নয় বছরে কোন কোন প্রতিষ্ঠানকে আইপিও (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) ইস্যু করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে, আমরা তার তালিকা চাই। তারা কারা, তাদের পরিচয় চাই। তাদের বর্তমান অবস্থা কী? আমরা তার তালিকা চাই।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আইপিও নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করেছে, আমি তাদের বিচার চাই। সেই সঙ্গে, খন্দকার ইব্রাহিম খালেদের তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করুন এবং অধিকতর তদন্তের পদক্ষেপ নিন। আমাদের বাংলাদেশে প্রথিতযশা অনেক ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদ আছেন; যারা এই অধিকতর তদন্ত করতে পারবেন।

আর্থিক খাতের বর্তমান অবস্থা তুলেন ধরে অন্যতম এই বাম নেতা বলেন, আমরা দেখছি ঋণ খেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। গত ১০ বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা থেকে ঋণ খেলাপির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। আজকে কী করছেন আপনারা? ১ মে থেকে চালু করবেন সেই রীতি। রীতিটা হলো- ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দেবেন, ৯ শতাংশ সুদ দেবেন, আর ১২ বছরে ঋণ পরিশোধ করবেন। আবার দেখলাম বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে দরকার হলে আরও ছয় মাস বাড়িয়ে দেওয়া হবে।

‘কী হবে এতে? যারা ঋণ নেন বা সাধারণ ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা তারা কোথায় যাবেন? আপনি ঋণ খেলাপি হয়ে ৯ শতাংশ সুদ দেবেন। আর আমি ভালো ঋণগ্রহীতা হয়ে ১৩ শতাংশ সুদ দেব। এটা কি হয়? আপনি ঋণ খেলাপি হয়ে ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দেবেন, আর আমি ভালো ঋণগ্রহীতা হয়ে ১০-১২ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দেবেন। এটা কি হয়? তাহলে আমরা সকলে এখন ঋণ নিয়ে ঋণ খেলাপি হব, ওটাই করার জন্য ব্যবস্থা করছেন আমাদেরকে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর