রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি ও খুচরা বাজার কারওয়ান জুড়ে বেড়েছে ক্রেতাদের সমাগম। একই সঙ্গে বাজারের সবজি, মাছ, মাংসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর দোকানও বেশ জমে উঠেছে। তাই কারওয়ান বাজার ফিরে যাচ্ছে, তার নিজস্ব চিরচেনা সাজে।
শুক্রবার (১৪ জুন) কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে ক্রেতা বিক্রেতাদের আনাগোনা আর বেচাকেনার ব্যস্ততা ছিল চোখে পড়ার মতো। কাঁচা বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতারা ব্যস্ত সবজি বেচাকেনায়। মাছ আর মাংসের বাজারেও ছিল ক্রেতাদের ভিড়। মাছ বাজার ছাড়া অন্যান্য বাজারের দাম নিয়ে ক্রেতাদের ছিল না তেমন কোনো অভিযোগ। ক্রেতাদের এমন উপস্থিতিতে বেশ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারা।
মাছ কিনতে এসে লায়লা রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ঈদের পর প্রথম বাজারে আসলাম। ঈদে ছুটিতে গ্রামে গিয়েছিলাম। আবার ঢাকায় ফিরে নিয়মিত অফিস করতে হচ্ছে। আগে থেকেই ভেবে রেখেছিলাম শুক্রবার সকাল সকাল বাজারে যাব। তাই চলে এসেছি।’
দাম নিয়ে তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম স্বাভাবিক। শুধু অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে মাছের দামটা। তাছাড়া রাজধানীর অন্যান্য সব বাজারের তুলনায় কারওয়ান বাজারের তরকারির দাম কম থাকে।’
কারওয়ান বাজারের সবজির খুচরা বিক্রেতা নজরুল বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বাজারে সবজির আমদানি ভালো থাকায় দামটা বাড়েনি। ঈদের পর আজকের বাজারে এতো কাস্টমার চোখে পড়ল। বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে।’
পাইকারি-খুচরা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মতো ছুটির দিনে বাজার নিয়ে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ব্যাপারীরাও। তারা বলছেন, বৃহস্পতিবার থেকে কাঁচা তরকারি, মাছের চাহিদা ছিল ভালো। নিয়ে আসা মালামাল বিক্রিতে খুব একটা সময় লাগেনি তাদের।
দিনাজপুর থেকে ট্রাকে করে মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, আর লাউ নিয়ে আসেন ফজলুর রহমান নামে এক ব্যাপারী। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বাজারে গত কয়েকদিন সবজির চাহিদা তেমন ছিল না। কিন্তু এবার বাজারে সবজির চাহিদা দেখে ভালো লেগেছে। অতিরিক্ত দাম না পেলেও বিক্রিতে কষ্ট ছিল না। তবে আমদানিও কম ছিল না।’