রাজধানীর সবচেয়ে বড় কাঁচামালের বাজার হিসেবে পরিচিত কারওয়ান বাজার। এই বাজারের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে পেঁয়াজ ও রসুনের আড়ত। সেখান থেকে পাইকারি দামে কিনে পাশেই খুচরা বিক্রি করেন অনেকে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কারওয়ান বাজারে ক্রেতা সেজে প্রায় ১৫টি খুচরা দোকানে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম জানতে চাওয়া হয়। দোকানিরা প্রথমে বেশি দাম বললেও সাংবাদিক পরিচয় দিতেই দাম কমিয়ে বলতে শুরু করেন।
এ সময় বিক্রেতারা প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজের খুচরা দাম চান ৭০-৭৫ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজের দাম চান ৮০ টাকা। রসুনের দাম চান ১৫০-১৮০ টাকা। তবে সাংবাদিক পরিচয় দিতেই পেঁয়াজ ৬৫-৭০ টাকা ও রসুনের দাম চান ১৩০-১৪০ টাকা চান।
আগে দাম বেশি চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতা জানান, সব কিছুর দাম বাড়তি। সবাই তো বেশি বেশি কইরা দাম রাখছে, তাই তিনিও এমন চেয়েছেন।
এদিকে, পাশেই এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘এই আপনেগো ব্যবসা? মিডিয়া আইলে এক দাম কন আর আমরা কিনতে আইলে আরেক দামে। ট্যাকাগুলা হালাল কইরা খাইয়েন, বুঝছেন!’
জানা গেছে, ঢাকার মোট পাঁচটি পয়েন্টে ৪৫ টাকা কেজি দরে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তত্ত্বাবধানে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে।
পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়ে একাধিক বিক্রেতা জানান, আমদানি কম, মৌসুম শেষের দিকে এবং বাড়তি চাহিদা থাকায় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।
হিলি আর সোনামসজিদ বন্দরের দু’জন পেঁয়াজ আমদানিকারকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। আগে প্রতিদিন গড়ে ৩০-৩২ ট্রাক পেঁয়াজ আসতো। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ এসেছে মাত্র ১৬ ট্রাক।
অন্যদিকে, বাণিজ্য সচিবের ঘোষণার পর মিয়ানমার থেকে কয়েক ট্রাক পেঁয়াজ আনা হলেও অজানা কারণে তা খালাস করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তারিক ইমন নামে একজন জানান, তিনি মহল্লার দোকান থেকে বাজার করেন। গত ১৩ তারিখে পেঁয়াজ কিনেছেন ৫৫ টাকায়। কিন্তু এখন সেই পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়।