অনমনীয় ঋণে অনুদানের পরিমাণ কমিয়েছে সরকার। আগে অনমনীয় ৬৫ শতাংশ ঋণে ৩৫ শতাংশ অনুদান পাওয়া গেলেও এখন থেকে ৭৫ শতাংশ ঋণে ২৫ শতাংশ অনুদান পাওয়া যাবে।
বুধবার (২ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ১৮তম অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের অবস্থা ভালো হয়ে গেছে। আগে নিম্ন আয়ের দেশ ছিলাম, এখন উঁচু জায়গায় পৌঁছালাম। ঋণের মধ্যে অনুদান ৩৫ শতাংশ থাকলে আমরা অনেক সুযোগ সুবিধা পেতাম না। যেহেতু এখন আমরা গ্রাজুয়েট করছি তাই ঋণের ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ অনুদানের জায়গায় ২৫ শতাংশ করছি।
অনুদান ৩৫ শতাংশ থাকলে ঋণ পাওয়ায় কোনো সমস্যা হতো কিনা জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, ঋণ পাওয়ার জন্য কোনো সমস্যা নেই। তবে আমাদের নিজস্ব বিবেচনার জন্য এ কাজটি আমরা করেছি।
তিনি বলেন, আগে আমরা অনুদানের পরিমাণটা দেখেই ঋণ নেয়ার বিষয়টি চিন্তা করতাম। কিন্তু এখন আমরা এটা ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করলাম। আর্থিক সক্ষমতা বাড়ার কারণে এ অবস্থা।
জানা গেছে, যে সব ঋণে অনুদানের পরিমাণ ৩৫ শতাংশ, সে সব ঋণ অনমনীয় ঋণ হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ হতে উত্তরণের ফলে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশ বাংলাদেশকে দেওয়া ঋণের সুদহার বৃদ্ধি করেছে। তারপরও ৩৫ শতাংশ অনুদানের ফলে ঋণসমূহ অনমনীয় হয়ে যাচ্ছে এবং চুক্তি স্বাক্ষরের পূর্বে ‘অনমনীয় ঋণ বিষয়ক স্থায়ী কমিটি’র অনুমোদন প্রয়োজন হচ্ছে। ফলে সার্বিকভাবে বৈদেশিক ঋণ আহরণের পরিমাণ শ্লথ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।