সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও চড়া মুরগি, চালের বাজার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

শীত মৌসুমের শুরু থেকেই রাজধানীর বাজারে আমদানি বাড়তে শুরু করে শীতকালীন সবজির। মৌসুমের শুরুতে ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকলেও আমদানি বাড়তেই দাম কমেছে সব ধরনের সবজির। তবে বেড়েছে সব ধরনের মুরগি, চালের দাম।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর পাইকারী ও খুচরাবাজার কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

ব্যবসায়ীরা জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারগুলোতে বাড়ছে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ। যার প্রভাবে দাম কমছে।

মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ২০০ থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, লেয়ার কেজিতে ৩২০ টাকা, সোনালি মুরগির কেজি ৩৫০ টাকা, হাইব্রিড সোনালি মুরগির কেজি ৩৩০টাকা, দেশি মুরগির ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

একই বাজারে গত সপ্তাহেরর শুক্রবার মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার কেজিতে ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, লেয়ার ২৯০-৩০০ টাকা কেজি, সোনালি ৩০০ টাকা কেজি, হাইব্রিড ২৮০ টাকা কেজি, দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।

মুরগির দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে আড়ত থেকে সব ধরনের মুরগির দাম বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন মুরগির দোকানীর সহযোগী মাছুম। ফলে বেশি দামেই কেনা হচ্ছে বলেই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সরেজমিনে সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে আলু ৫০ টাকা কেজি, টমেটো ৮০ টাকা কেজি, মুলা ৩০ কেজি, গাজর ৬০ টাকা কেজি, পটল ৫০ টাকা কেজি, পেঁপে ৫০ টাকা কেজি, মাঝারি ফুলকপি জোড়া ৫০ টাকা, পাতা কপি ৪০ টাকা পিস, পেঁয়াজের কালি ১৫ টাকা আটি, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা কেজি, সিম প্রকার ভেদে ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি, কাচা মিষ্টি কুমড়া মাঝাড়ি আকাড়ের প্রতি পিস ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ কেজি ৬০ টাকা, নতুন দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি, ইন্ডিয়ান রসুন ২০০ টাকা কেজি, দেশি আদা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া লাউ আকার ভাদে প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকা, সাদা বেগুন ৬০ টাকা কেজি, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা কেজি, শালগম ৩০ টাকা কেজি, শশা ৫০ টাকা কেজি।

এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই আকারভেদে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি, কাতল আকার ভেদে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি, টেংড়া ৬৫০ টাকা কেজি, সরপুঁটি ২৫০ টাকা কেজি, মলা ৪০০ টাকা কেজি, দেশি পুটি ৫০০- ৬০০ টাকা কেজি, মাঝারি আকারের চিংড়ি ৮০০ টাকা কেজি, পাপদা ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি, দেশি কই ৭০০ টাকা কেজি, চাষের কই ২৫০ টাকা কেজি, শিং ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়াও বাজারে ১ কেজি থেকে ১ কেজি ৪০০ কেজির ওজনের ইলিশ ২৪০০ টাকায় এবং দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ২৮০০ টাকা কেজি। দুইটাই কেজি ওজনের ইলিশ ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের বাজার ঘুরে দেখা গেছে বিগত সপ্তাহের মতো একই দামেই চলতি সপ্তাহেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের ডিম, বাজারে সাদা ডিমের ডজন ১৩০ টাকা, লাল ডিম ডজন ১৩০-১৩৫ টাকা এবং হাসের ডিম ডজন ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শাক-সবজির দাম কমলেও চড়া চালের বাজার। বাজারে প্রতিকেজি ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে চালের দাম। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বরিশাল রাইছ এজেন্সির বিক্রেতা জানান, মিলার ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কারসাজিতে ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার।

তিনি বলেন, মিনিকেট চাল কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে ৭২-৭৫ টাকায়। আর নতুন আটাইশ ৫৫-৫৭ টাকা, পুরাতন আটাইশ ৬০-৬২ টাকা ও নাজিরশাইল ৭৬-৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।