জনমানুষের আস্থা অর্জনের মধ্য দিয়ে ২০ বছর পার করলো প্রিমিয়াম ব্যাংক লিমিটেড। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের মধ্য দিয়ে ২১শে পা রাখলো ব্যাংকটি।
এই উপলক্ষে শনিবার (২৬ অক্টোবর) দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ব্যাংকটির গুলশানের প্রধান শাখায়। দুপুরে ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে চলতি বছরের ৯ মাসের আর্থিক প্রতিবেদনও তুলে ধরা হয়। নতুন বছরের প্রত্যাশা ব্যাংকটি দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যাংকে পরিণত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৯৯৯ সালে পথ চলা ব্যাংকটির ১০০টি আউটলেট রয়েছে। কোর ব্যাংকিংয়ে চলা ব্যাংকটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্লাটিনাম মাস্টার কার্ড, ব্যাংকের নিজস্ব ডিজাস্টার রিকভারি সিস্টেম, আই ব্যাংকিং এবং এসএমই ব্যাংকিং। অর্থাৎ মডার্ন ব্যাংকিং সুবিধাগুলোকে কাস্টমারের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর প্রচেষ্টায় আমরা নিয়োজিত।
সংবাদ সম্মেলনে প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ বি এম ইকবাল, ভাইস চেয়ারম্যান মঈন ইকবাল, পরিচালক আব্দুস সালাম মুর্শেদী এমপি, ইমরান ইকবাল, জামাল জি আহমেদ, উপদেষ্টা মুহাম্মদ আলী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী অফিসার (সিইও) এম রিয়াজুল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ডা. এইচ বি এম ইকবাল বলেন, শুরুটা হয়েছিলো সেই ১৯৯৯ সালে। তারপর থেকে আমরা মানুষের বিশ্বাস, আস্থা ও ভালোবাসায় আজকের অবস্থানে এসেছি । আমাদের ব্যাংক দেশের বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই সমৃদ্ধিময় উন্নয়নে আপনাদের সাহায্য ও ভালোবাসা ছাড়া আমরা আজকের অবস্থানে পৌঁছাতে পারতাম না।
তিনি বলেন, প্রিমিয়াম ব্যাংক এবং গ্রুপ ফাউন্ডেশন মিলে প্রথমবারের মত ভৈরবের ১ হাজার গ্রামে হাত দিয়েছি। যেখানে এডুকেশন সিটি হবে । আমাদের ইনকামের ৫-১০ শতাংশ সেখানে ব্যয় করবো। ৩০০ বিঘা জমি কিনেছি। এখানে স্কুল, কলেজ এবং ইউনিভার্সিটি করছি।
পাশাপাশি এখানে দরিদ্রদের অভাব দূর করতে কম সুদে ১ লাখ লোককে লোন দিবো। এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, সাংবাদিকদেরও ব্যাংক লোন দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকটির এমডি ও সিইও এম রিয়াজুল করিম বলেন, সমৃদ্ধির এই পথচলা অব্যাহত থাকবে। সবাইকে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব অনেক দূর। সমৃদ্ধির পথে চলতেই আমরা গড়বো এক উন্নত বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালের ব্যাংকের ডিপোজিটের সংখ্যা ছিলো ১৬ হাজার ৭৫০কোটি। সেই ডিপোজিট ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ১৭০কোটিতে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২২ শতাংশ। লোন প্রফিটের গ্রোথ হয়েছে ১৫ শতাংশ। কোম্পানির আর্নিং পার শেয়ার (ইপিএস) ১ দশমিক ২২ টাকা ছিলো। তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৭৪ পয়সায়। নেট অ্যাসেট ভ্যালু দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৫৯ পয়সা।
এছাড়াও ব্যাংকটির উপদেষ্টা মুহাম্মদ আলী বলেন, সরকারের উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার যাত্রাকে আমরা আরও বেগবান করবো। এর আগের সকালে কেক কেটে ২০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান।