প্রায় এক মাস ধরে দেশে পেঁয়াজের দাম অস্থিতিশীল। এর পাশাপাশি নতুন করে বেড়েছে ডিম ও রসুনের দামও। এতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় নাখোশ। ক্রেতাদের যাচ্ছে টাকা আর বিক্রেতাদের শুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের কথা।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ ১৩৫-১৪৫ টাকা কেজিতে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩৫টাকা কেজি দরে। তবে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ ১৪০-১৫৫ টাকা কেজিতে। আর আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা কেজিতে।
বাজারে লেয়ার মুরগির ডিম ৪০ টাকা হালি আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়। হাঁসের ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। খুচরা বাজারে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি রাখা হচ্ছে। এই দুটির পাশাপাশি নতুন করে দাম বাড়ছে রসুনের।
বৃহস্পতিবার কারওয়ান বাজারে দেশি রসুন প্রতি কেজি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা দরে। বিদেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা দরে। খুচরা বাজারে রসুনের দাম বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেশি দরে।
ব্যবসায়ী মুরাদ আহমেদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘পেঁয়াজ ও রসুনের দাম একটু বেশি। আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়, তাই বিক্রিও করছি বেশি দামে। আমাদের কি করার আছে?’
অফিস শেষে বাজার করতে আসা এনায়াত উল্লাহ বলেন, ‘কোথায় যাব বলেন? প্রতিটি জিনিসের দামই বাড়তি। প্রায় এক মাস ধরে লাগামহীন বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এখন দেখি বাড়ছে রসুনেরও। কেজিতে ১০টাকা বেশি। রসুনও কি বিদেশ থেকে আমদানি বন্ধ নাকি?’
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, পেঁয়াজের ছোঁয়াতে রসুনের দামও বাড়ছে।
প্রতিষ্ঠানটির তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে দেশি রসুন ১৩০-১৫০ টাকায় পাওয়া যেত। যা বুধবার বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৭০ টাকা কেজি দরে। আমদানি করা রসুন ১৪০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। টিসিবি বলছে আমদানি করা এসব রসুনে প্রায় ১৫ শতাংশ পর্যন্ত দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।’
পেঁয়াজ, রসুন আর ডিমে দাম বাড়লেও মাছ মাংস ও সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১২৫-১৩০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৮০টাকা পিস এবং কক বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা পিস দরে। গরুর মাংস ৫০০-৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বন্ধ থাকার পর নতুন করে বাজারে উঠতে শুরু করেছে ইলিশ মাছ। এক কেজি কিংবা তার চেয়ে পরিমাণে একটু বেশি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১০০০ টাকায়, শিং প্রতি কেজি ৪০০-৬০০ টাকায়, চিংড়ি কেজি ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শীতকালীন সবজি শিম কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজিতে। ফুল কপি ১৫-২০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে কারওয়ান বাজারে। একই বাজারে ভালো মানের লাউ বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৩০-৩৫ টাকায়। জালি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়।
বেগুন, চিচিঙ্গা, করলা, বরবটি ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। এছাড়াও পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ১৫টাকা কেজিতে।