শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো বেশ উত্তপ্ত। বাড়তে বাড়তে পেঁয়াজের দাম খুচরা বাজারে ২৩০টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। সেই সাথে শীতের সবজির মূল্যও প্রত্যাশিত দামের চেয়ে অনেক চড়া। মাছ-মাংসের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও অস্বস্তিতে বাজারের সামগ্রিক দশায় বিপাকে রয়েছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের ক্রেতারা।
রায়ের বাজার, জিগাতলা ও কারওয়ান বাজারের সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতি কেজি ঢেঁরশ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, করোল্লা ৪০, শিম ৪০, মুলা ৩৫, বেগুন ৩০, পটল ৪০, বরবটি ৬০, চিচিঙ্গা ৪০, আলু ২০, পেঁপে ২০, গাজর ৬০, শসা ১০০, কাঁচামরিচ ৬০, টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, ফুলকপি ৩০, বাঁধাকপি ৩০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া (ছোট) ৪০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে।
মুদি পণ্য, মসুর ডাল (চিকন) প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, মসুর (মোটা) ৬৫ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, অ্যাংকর ৩৫ টাকা। চিনিগুঁড়া চাল প্রতি কেজি ১০০ টাকা, মিনিকেট ৪৮ টাকা, আটাশ চাল ৪০ টাকা।
জিরা প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা, এলাচ ২৫শ’ টাকা এবং বোতলজাত ভোজ্যতেল প্রতি ৫ লিটার তীর সয়াবিন তেল ৩৫০ টাকা আর রূপচাঁদা ৪৬০ টাকা।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায় সাইজ ভেদে প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ছোট ৬০০, মাঝারি ৭০০ এবং বড় ৮০০ টাকা কেজি দরে। পাবদা মাছ প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, টেংরা ৫৫০, রুই ৩০০, তেলাপিয়া ১৬০, নলা ২০০ এবং কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি দরে।
গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা কেজি, খাসির মাংস ৭০০ এবং ছাগলের মাংস ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, পাকিস্তানি ২৫০ টাকা এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ টাকা কেজি দরে।
একাধিক খুচরা সবজি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সবজির বাজার গত চার দিন থেকে এরকমই আছে। এখন বাজারদর যেমন আছে আগামী কয়েক দিনে এর চেয়ে বাড়া-কমার সম্ভাবনা দেখছেন না তারা।