মেলার পরেও হয়রানিমুক্তভাবে আয়কর ও রিটার্ন জমা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
তিনি বলেছেন, 'আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মেলার মতোই হয়রানিমুক্তভাবে এনবিআরের সকল কর অঞ্চলে সেবা দেওয়া হবে।'
বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে 'আমরা স্বাবলম্বী হব, সকলে কর দেব' শীর্ষক অনুষ্ঠানে বৃহৎ করদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর এমডি, সিইও, প্রতিনিধি এবং উপস্থিত করদাতাদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেন, মেলার কমিটির প্রধান ও এনবিআরের সদস্য কালিপদ হালদারসহ এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, 'আয়কর মেলায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন এলাকা থেকে করদাতারা এসে কর জমা দিচ্ছেন। আয়কর মেলাকে তারা নির্ভরযোগ্য বলে মনে করেন। আমরা এ প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, কর অঞ্চলেও তারা নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে কর দিতে পারবে। আমাদের লোকজন তাদেরকে কোনো প্রকার হয়রানি করবে না। যদি কেউ হয়রানি করতে চায়, তবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।'
তিনি বলেন, '৩০ নভেম্বরের মধ্যে আয়করের রিটার্ন দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তারপর যারা দেবেন তাদেরকে জরিমানা দিতে হবে।'
মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, 'দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, প্রবৃদ্ধির গ্রোথ ৮ শতাংশের বেশি হচ্ছে। আগামী বছরগুলোতে এ গ্রোথ চলতে থাকবে। তার জন্য আমাদের অভ্যন্তরীণ সম্পদ ও ট্যাক্স জিডিপি রেশিও রয়েছে তা অনেকগুণ বাড়াতে হবে।'
তিনি বলেন, 'ট্যাক্স জিডিপি রেশিও এখন ১০-১১ শতাংশ। আমাদের টার্গেট ২০২৫ সালে ১৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়া। সরকারের এসডিজি অর্জনে অর্থাৎ ২০৩০ সালে ট্যাক্স জিডিপি রেশিও ২০ শতাংশে উন্নীত করতে চাই।'
তিনি বলেন, 'সেই লক্ষ্যে আমরা কর্মসূচি নিয়েছি। কর্মসূচির আওতায় জরিপের কাজ শুরু করেছি। অফিসগুলো সম্প্রসারণ শুরু হচ্ছে। কর প্রদানে উদ্বুদ্ধ করতে আয়কর মেলা করেছি। ফলে শত কষ্ট করে মেলায় লোক উপস্থিত হয়ে কর দিচ্ছেন। সেবাও নিচ্ছেন।'
এর আগের অনুষ্ঠানে বৃহত্তর আয়কর ইউনিটের (এলটিইউ) আওতাধীন ২১টি প্রতিষ্ঠান এনবিআর চেয়ারম্যানের হাতে ২৯৩ কোটি টাকার আয়করের জন্য চেক ও পে-অর্ডার হস্তান্তর করেন।