শীতকালীন সবজি বাজারে আসার পরও রাজধানীতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। নতুন করে বেড়েছে চাল, ডাল, আঠা, ময়দা এবং ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। তবে কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দাম।
আর তাতে স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শ্রমিকদের ধর্মঘটের ফলে চাহিদার তুলনায় রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজি আসেনি। তাই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়, পাতা কপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা পিস। শশা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে। একই দরে বিক্রি হচ্ছে টমেটো।
প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে, ৬০ টাকায়, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, করলা ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০ টাকা, মূলা ৫০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০,পটল ৬০, পেঁপে ৩০ এবং কাঁকরোল ৭০ টাকা কেজিতে। এছাড়াও কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে আর আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩২ টাকা কেজিতে।
জানতে চাইলে ব্যবসায়ী মঞ্জুর আহমেদ তুহিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, সবজির দাম একটু বেশি। বাজারে সবজির আমদানি কম তাই দামও বেশি। তিনি বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে সবজির দাম বেশি।
বাজারটিতে গিয়ে দেখা গেছে প্রায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা থেকে ৬০ টাকা দরে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো মানের নাজির ও মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজিতে। সাধারণ মানের নাজির ও মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজিতে।
মাঝারি মানের চাল চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫২ টাকায়। পাইজম চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫২ টাকা দরে। মোট স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা কেজি দরে।
ফারুক রাইস এন্টারপ্রাইজের মালিক ফারুক বলেন, কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে ২-৬ টাকা। চাল শর্ট তাই দামও বাড়ছে।
চালের পাশাপাশি আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৩৮ টাকা কেজি দরে। অথচ দুদিন আগেও ২৮-৩০ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি হয়েছে। ময়দাও বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৮ টাকা কেজি দরে। ৮০ টাকা লিটার সয়াবিন তৈল বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা দরে। ৪৩০ টাকার ৫ লিটারের সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা দরে।
১০০ টাকা কেজির দেশি মুশরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা দরে। ১১৫ টাকা কেজি নেপালি ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়। ৯০ টাকার মুগডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি দরে।
তবে কিছুটা কমছে পেঁয়াজের দাম। বৃহস্পতিবার দেশি পেঁয়াজ ১৬০-১৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। আমদানি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৫০ টাকা কেজি দরে।
তবে বেড়েছে রসুন, গুড়া হলুদ, শুকনা মরিচের দাম। এদিন ১৫০ টাকার দেশি রসুন ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বিদেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজিতে। ১৮০ টাকার শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজিতে। ১৬০ টাকার গুড়া হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে।
মাংসের মধ্যে বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি দরে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫২০ টাকা। খাসি মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকা দরে।
মাছের মধ্যে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি, কাতলা ২৮০-৩৫০ টাকা কেজি, শোল মাছ প্রতি পিস ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি, পুটি মাছ ১৫০-২০০ টাকা কেজি এবং টেংড়া প্রতি কেজি ৫৫০-৬০০ টাকা দরে।