গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৫.০৬ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে ডেসকো (ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি)। বর্তমান পাইকারি দর বিবেচনায় এ প্রস্তাব, পাইকারি দাম বাড়ালে সমন্বয় করার আবেদন করেছে বিতরণ কোম্পানিটি।
সেমবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর গণশুনানিতে এ প্রস্তাব উপস্থাপন করেন ডেসকো এমডি শাহীদ সারোয়ার।
এমডি বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে সিস্টেম লস ৭.১১ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। এরপর মনে হয় আর খুব বেশি কমানো সম্ভব হবে না। হয়তো ৬ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা কঠিন হবে। এর মধ্যে অনেকটা টেকনিক্যাল লোকসান। আবাসিক গ্রাহকের ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিটে ১.১২ টাকা হারে লোকসান হচ্ছে। এ কারণে দাম বাড়ানো প্রয়োজন।
১৩২ কেভি লেভেলে অপরেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বিবেচনায় ৩৩ কেভি ও ১৩২ কেভি লেভেলের ২০ পয়সা পার্থক্য নির্ধারণের আবেদন করা হয়েছে। ২০১৭ সালে বিলুপ্ত হওয়া পাওয়ার ফ্যাক্টর শুদ্ধিকরণ চার্জ পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে ডেসকো।
বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, কমিশনের সদস্য রহমান মুর্শেদ মিজানুর রহমান ও মাহমুদউল হক ভুঁইয়া শুনানি করছেন।
তৃতীয় দিনের মতো চলা এ শুনানিতে ক্যাবসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত রয়েছেন। এদিন সকালে ঢাকার দক্ষিণাঞ্চলের বিতরণ কোম্পানি ডিপিডিসির দর বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর শুনানি গ্রহণ করা হয়। ৩ ডিসেম্বর শেষ দিনে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও ওজোপাডিকোর প্রস্তাবের ওপর শুনানি হবে।