দফায় দফায় দাম বাড়ার পর গত সপ্তাহে কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দাম। সর্বশেষ গত দু’দিনে পেঁয়াজের দাম কখনও বেড়েছে, কখনওবা কিছুটা কমেছে। শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পেঁয়াজের দামে কোনো হেরফের হয়নি, বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে কমেছে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম।
সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও কারওয়ান বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
যাত্রাবাড়ি বাজারের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, কেজি প্রতি নতুন পেঁয়াজ ১৮০ টাকা, পুরনো দেশি পেঁয়াজ ২৫০ টাকা, মিশরের পেঁয়াজ ৯০ টাকা ও ভারত থেকে চোরাই পথে আসা পেঁয়াজ ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য দিনে দাম ওঠানামা করলেও শুক্রবার দামের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
বাজারে শীতকালীন সবজিসহ সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি পিস ফুলকপি ২৫-৩০ টাকা, শিম ৩০ টাকা, কেজি প্রতি মুলা ১৫ থেকে ২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩০ টাকা, শালগম ২৫-৩০ টাকা, টমেটো ৬০-৭০ টাকা, নতুন আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, পুরনো আলু ২৫ টাকা, বেগুন ৩০-৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, লতি ৩০ টাকা, গাজর ৩৫-৪০ টাকা, করলা ৪৫-৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস লাউ ২৫ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া পাওয়া যাচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।
এছাড়া আঁটি প্রতি লাল শাক পাঁচ টাকা, মুলা শাক ১০ টাকা, লাউ শাক ১০-১৫ টাকা ও পুঁই শাক ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এক কেজির প্রতিটি ইলিশ ১১০০-১২০০ টাকা ও ৬০০-৭০০ গ্রামের একেকটি ইলিশ ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর অন্যান্য মাছের মধ্যে রুই মাছ ২২০ টাকা, কার্ফু মাছ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বিক্রেতারা জানিয়েছেন, শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় মাছের দাম কিছুটা বেশি। বৃহস্পতিবার দাম কিছুটা কম ছিল।
এদিকে গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও ডিমের হালি ৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়ে ১২০ টাকা ও লেয়ার মুরগি ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গরু মাংস ৫৫০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা আর বকরির মাংস ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি ৪২০ টাকা ও পাকিস্তানি মুরগি ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সামসুল আরেফিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, সবজির দাম কিছুটা কম। কিন্তু মাছের দাম বেশি। আর পেঁয়াজের দাম তো আগে থেকেই বাড়তি। এভাবে হলে আমরা স্বল্প আয়ের মানুষেরা কতদিন টিকে থাকতে পারব সেটাই ভাবছি। বাজার দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসা উচিত।