কমছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম
পেঁয়াজের সঙ্গে কমতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজির দাম। সাতদিনের ব্যবধানে দেশি-বিদেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ টাকা কমেছে। সবজি কমেছে অনন্ত ৫ থেকে ১০ টাকা করে। নতুন পেঁয়াজের সঙ্গে রফতানির পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় কমছে দাম।
অন্যদিকে শীতকালীন সবজিও বাজারে ওঠায় সবজির দাম কমছে। এগুলো ছাড়াও মোটা চাল, আটা ও ডালের দামও কিছুটা কমেছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফকিরাপুল ও সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারে দিয়ে দেখা গেছে, দেশি ভালো মানের নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকায়। মাঝারি মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। পাতাসহ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজিতে। আপেল আকৃতির আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে।
গত বৃহস্পতিবার পাতাসহ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮৫-৯০ টাকা কেজি দরে। আমদানিকৃত চীনা বড় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজিতে। মিয়ানমার ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১৭০-১৮০ টাকা কেজি দরে। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ২০০-২২০ টাকা কেজি প্রতি।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী মইনুল ইসলাম লিটন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। তাই পেঁয়াজের দাম কমছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি পিস মাঝারি আকারের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। আর ভালোমানের ফুলকপি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা দরে। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে নিম্নমানের যে শিম ৩৫-৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে বৃহস্পতিবার সেই দামে ভালোমানের শিম পাওয়া যাচ্ছে। ৬০ টাকা দরের গাজর বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহে ৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া বেগুন পাওয়া যাচ্ছে ৪০ টাকায়। কাঁচা টমেটো ৫০-৬০ টাকা আর পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিতে। আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৯০-১০০ টাকা কেজিতে। ৭০ টাকায় বিক্রি হওয়া বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৩০, করলা ৬০, শসা ৪০-৫০, মুলা ২৫-৩০, পটল ৫০, লাউ ৪০, পেঁপে ২০, নতুন আলু ৩০ ও পুরাতন আলু ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও শালগম ২০-২৫ টাকা, বাঁধাকপি ২৫ টাকা, কচুর লতি ৩০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ টাকা এবং চিচিঙ্গা ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস বড় লাউ ৩৫ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া পাওয়া যাচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। আঁটি প্রতি লাল শাক পাঁচ টাকা, মুলা শাক ১০ টাকা, লাউ শাক ১০-১৫ টাকা ও পুঁই শাক ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মোটা আটাশ চাল আগের সপ্তাহের চেয়ে ২ টাকা কমে ৪০-৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৫০ টাকা, নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি দরে। পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা কেজিতে। মসুর ডাল ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা হালি আর হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা হালিতে।
মাংসের মধ্যে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে। লেয়ার মুরগি ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৫৫০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা আর বকরির মাংস ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি ৪২০ টাকা ও পাকিস্তানি মুরগি ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এক কেজি সাইজের প্রতিটি ইলিশ ১১০০-১২০০ টাকা ও ৬০০-৭০০ গ্রামের একেকটি ইলিশ ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর অন্যান্য মাছের মধ্যে রুই মাছ ২২০ টাকা ও কার্প মাছ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।