বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অর্ধেকের বেশি সময় অতিক্রম করেছে। মেলায় বেচাকেনার জন্য ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য সময় রয়েছে হাতেগোনা কয়েক দিন। তাই এই সময়টাকে কাজে লাগাচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। যার যা প্রয়োজন কিনে ফেলেছেন তড়িঘড়ি করেই। তরুণীরা ভিড় করছেন প্রসাধনী ও অলংকার পণ্যের দেশি-বিদেশি স্টলগুলোতে।
মেলায় অন্যান্য পণ্য-সামগ্রীর পাশাপাশি নারীদের প্রসাধনী ও অলংকারেও দেওয়া হচ্ছে বিশেষ মূল্যছাড়। আর তাতেই তারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন এসব পণ্য কিনতে। তবে পণ্যের মানের কথাও মাথায় রাখছেন অনেকেই।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) মেলায় কয়েকটি দেশি-বিদেশি প্রসাধনী ও অলংকারের স্টল ঘুরে দেখা যায় বিক্রয়কর্মীরা তাদের পণ্য সম্পর্কে দর্শনার্থীদের বুঝিয়ে দিচ্ছেন। সেই সাথে জানাচ্ছেন কোন পণ্যে কি ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
এর মধ্যে ঝুমকা, ফ্লোর্মার, গোল্ডেন রোজ, ফরেন ও থাই প্যাভিলিয়নসহ বিভিন্ন স্টল-প্যাভিলিয়নে দর্শনার্থীদের আনাগোনা বেশি। এছাড়া বিদেশি প্যাভিলিয়নে ব্যাগ ও জুতার প্রতিও তাদের আকর্ষণ অনেক।
লিপস্টিক, নেইলপলিশ, ফেসপাউডার, আইলাইনার, মাশকারা, আইশ্যাডো, ইমিটেশনের মালা, কানের দুল, চুড়ি থেকে শুরু করে একজন নারীর সাজসজ্জায় যা প্রয়োজন সবই পাওয়া যাচ্ছে এসব স্টলে। তবে বিদেশি প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশি নিম্নমানের পণ্য উঠানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন অনেক দর্শনার্থী।
হাবিবা নামের ইডেন কলেজ থেকে আসা এক দর্শনার্থীর সাথে কথা হয় গোল্ডেন রোজের স্টলে। তিনি বলেন, শুধু তো ছাড় পেলেই চলবে না। এগুলো পণ্য যেহেতু আমরা আমাদের ফেসে ব্যবহার করব তাই মানটাও বিচার করে নিতে হবে।
গোল্ডেন রোজ স্টলের ইনচার্জ মাসুদ বলেন, আমাদের এখানে যে কোন পণ্য কিনলে একটি করে নোটবুক ফ্রি দিচ্ছি। এছাড়া আমাদের ৩৫শ’ টাকা মূল্যের ১০০ এমএল পারফিউমের সাথে ৫০০ টাকা ছাড় দেওয়া হচ্ছে। মেলায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে আমাদের বিক্রি অনেক ভালো হচ্ছে।
ফ্লোর্মার স্টলের সাইফুল ইসলাম সজল জানান, তাদের স্টলে পণ্য ভেদে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হচ্ছে। স্টলে তরুণীরাই বেশি আসছেন।
ফরেন প্যাভিলিয়নের বিক্রয়কর্মী ইতি জানান, তাদের স্টলে ইমিটেশনের সব রকমের অলংকারসহ কসমেটিক্স পাওয়া যাচ্ছে। লেকমির একটা কাজল কিনলে একটা ফ্রি দেওয়া হচ্ছে।
মিরপুর থেকে আসা সম্পা বলেন, মেলা ছাড়া তো এসব পণ্যে ছাড় পাওয়া যায় না। তাই মেলা থেকে কিনতে চাচ্ছি।