শীতকালীন সবজি বাজারে আসার পরও আগের মতোই রয়েছে সবজির দাম। সবজির পাশাপাশি মাছ, মাংস ও ডিমের দামও রয়েছে অপরিবর্তিত।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর শান্তিনগর এবং সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, শীতকালীন ভালোমানের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা দরে, একটু নিন্মমানের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা পিস। পাতাকপিও একই দরে বিক্রি হচ্ছে।
শীতকালীন অন্যান্য সবজির মধ্যে শিম বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা কেজি দরে। মুলা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজিতে। নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজিতে।
এছাড়াও বাজারগুরোতে করলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, গট কচু ৫০ টাকা দরে। অ-মৌসুমি পটল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, বরবটি ১২০ টাকায়। পাশাপাশি প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া বড় সাইজ ১২০ টাকা, ছোট সাইজ ৪০ টাকা এবং মৌসুমি শাক আঁটি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ১৫ টাকা দরে।
শান্তিনগর বাজারে সবজি ব্যবসায়ী চিত্তরঞ্জন দাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, সবজির দাম আজকে সবজির দাম বাড়েনি। ডিম দাও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। সবজির দাম হঠাৎ করেই বাড়ে আর কমে। এতে আমাদের করার কিছুই থাকে না। সাপ্লাই কমে গেলেই দাম বাড়ে বলে জানান তিনি।
সবজির পাশাপাশি বাজাটিতে ডিমের মধ্যে মুরগির ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায় আর হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে। তবে খুচরা মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা হালিতে।
মাংসের মধ্যে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা কেজিতে। পাকিস্তানি মুরগি প্রতি কেজি ২৪০ টাকায়, দেশি ৪৫০ টাকায়, সাদা কক ২১০ টাকায়, ব্রয়লার ১৩০ টাকায় এবং প্রতি পিস হাস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি দরে আর ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে খাসির মাংস।
মাছের বাজারে চিংড়ি সাইজ ও জাত ভেদে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজি, ইলিশ মাছ সাইজ ভেদে ৭০০ থেকে ১৪০০ টাকা, রূপচাঁদা ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি, দেশি বড় রুই মাছ ১২০০ টাকা কেজি, কাতল মাছ বড় ৯০০ টাকা কেজি, আইড় মাছ ১০০০ টাকা কেজি, বোয়াল মাছ ৮০০ টাকা কেজি, নদীর পাঙাশ মাছ ১০০০ টাকা কেজি। এছাড়া লইট্টা ২০০ টাকা কেজি, পাবদা ৫০০ ও মলা ৪০০ টাকা কেজি, কাচকি ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।