একে তো বসন্ত উৎসব, তারই সঙ্গে ভালোবাসা দিবস; দুটি দিবসই এসেছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারে। শুধু বনের শিমুল, পলাশ আর মাদার গাছে নয় রাজধানীর কাঁচাবাজারেও ফাগুনের আগুনের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে।
শাক-সবজি, আদা-রসুন, মাছ-মাংস ও চালসহ বাজারে প্রত্যেকটি পণ্য বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। চাল ও সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন চলতি সপ্তাহে এসব পণ্যের দাম আরো বাড়বে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি করল্লা ১০০ টাকা, শিম ৪০, বাঁধাকপি ৩০, ফুলকপি ৩০, বেগুন ৪০, জালি কুমড়া ৭০, শসা ৩০, পেঁপে ৩০, গাজর ২০, আলু ১৮, লাউ ৬০, টমেটো ৪০, মুলা ৩০, ধুন্দল ৬০ এবং বরবটি ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহ থেকেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছিল আদা ও রসুনের দাম। এ সপ্তাহেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দেশি আদা ১২০ ও চায়না আদা ১৫০, রসুন ১৬০ ও চায়না রসুন ২০০, বার্মিজ পেঁয়াজ ১১০ এবং পাকিস্তানি পেঁয়াজ ৮০ টাকা ও মরিচ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
রাজধানীর কৃষি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৫০ টাকা, আটাশ চাল ৩৭, নাজির ৫৬ এবং পোলাও চাল ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম আগামীকাল থেকে আরো বাড়বে বলে জানান কৃষি মার্কেটের চাল ব্যবসায়ী হাজী আমিন মিয়াজী।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে ইলিশ সাইজ ভেদে ৯০০ থেকে ১২৫০ টাকা, রুই ১২০০ টাকা, বোয়াল ১০০০ টাকা, বড় চিংড়ি ১৫০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ১০০০, কালবাউস ৫০০ টাকা, বাইম ৪০০ টাকা, বউ মাছ ৪৩০ টাকা, ছোট টেংড়া ৪০০ এবং ছোট পুঁটি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খাশির মাংস ৯০০ টাকা কেজি, ছাগল ৮০০, গরুর মাংস ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি ১৩০ টাকা, পাকিস্তানি ২৩০, দেশি ৪৫০ এবং সাদা কক প্রতি কেজি ২১০ টাকা দরে।
মাছ ও মাংসের দাম বাড়তি কেন জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলেন, বসন্ত উৎসবের কারণে চাহিদা বেড়েছে তাই দামও বেড়েছে। বাজারে শুধু অপরিবর্তিত রয়েছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা দরে।