তিনদিন উত্থান আর দুইদিন সূচকের দরপতনের মধ্যদিয়ে আরও একটি সপ্তাহ পার করলো দেশের পুঁজিবাজার। বিদায়ী সপ্তাহে সূচক, লেনদেন ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে দুই পুঁজিবাজারেই। আর তাতে বিনিয়োগকারীদের মূলধন অর্থাৎ পুঁজি বেড়েছে ১৩ হাজার ৬৫০ কোটি ২০ লাখ টাকা। ২৭ লাখ বিনিয়োগকারীদের এই টাকা।
এর মধ্যে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার ৬১৯ কোটি ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৪৪৭ টাকা। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) বিনিয়োগকারীদের মূলধন বেড়েছে ৭৬ হাজার ৩১ কোটি ১৫ লাখ ৭ হাজার টাকা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারের চলমান সংকট থেকে উত্তোরণের লক্ষে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে ২০০ কোটি টাকা নতুন করে বিনিয়োগের নির্দেশনা দিয়েছে। আর তাতে অন্তত ১২ হাজার কোটি টাকার নতুন ফান্ড সংগ্রহ হবে। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট দূর হবে। বাজারে নতুন করে ফান্ড আসবে, লেনদেন বাড়বে। বিনিয়োগকারীরাও হারানো পুঁজি ফিরে পাবে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী সপ্তাহে মোট ৫ দিনে ডিএসইতে লেনদেনে হয়েছে ২ হাজার ৫৯৬ কোটি ৫০ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫৯ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ২২২ কোটি ৬ লাখ ৩১ হাজার ১৭৭ টাকা। যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি।
আলোচিত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৪৬টির, কমেছে ৯৪টির, আর অপরিবির্তত রয়েছে ১৮টি কোম্পানির শেয়ারের। আর তাতে লেনদেনও সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ৭০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। যা গত এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন।
ব্যাংক, বিমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় তিন সূচকে পথ চলা ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১১১ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৫৬৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএস-৩০ সূচক ২২ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৮ পয়েন্ট বেড়েছে।
একই সময় সিএসইতে প্রধান সূচক ৩৬১ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৫৪ কোটি ৭২ হাজার টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩২টির, কমেছে ৬৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের।