দেশে পুঁজিবাজারের জন্য ১৭ কোটি ডলার অর্থাৎ (ডলার প্রতি ৮৫ টাকা) ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকার ঋণের অর্থ ছাড় করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। পুঁজিবাজারের কাঠামো এবং আইনগত সংস্কারে এই টাকা ব্যয় করবে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রয়ারি) ফিলিপাইনের ম্যানিলায় এডিবির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় এ ঋণ অনুমোদন করা হয়।
এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৫ সালের নভেম্বরে দেশের পুঁজিবাজার সংস্কারে ২৫ কোটি ডলারের সিএমডিপি-৩ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ে দেয়া ৮ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তার মধ্যে ৭ লাখ ডলারের কারিগরি সহায়তা অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর মধ্যে ৩ লাখ ডলার কোরিয়া সরকারের ই-এশিয়া ও নলেজ পার্টনারশিপ ফান্ডের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হয়। থার্ড ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (সিএমডিপি-৩) আওতায় দ্বিতীয় ধাপে বাজেট সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকে এ ঋণ সহায়তা দিচ্ছে।
এডিবি ২০১২ সালে সিএমডিপি-২ প্রকল্প অনুমোদনের সময় থেকেই পুঁজিবাজারের বর্তমান সংস্কার কার্যক্রমকে সহায়তা করে আসছে। ২০১০ সালের ডিসেম্বরের বাজার ধসের পর আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি টেকসই উন্নয়নের পথে পুঁজিবাজারকে ফিরিয়ে আনাই ছিল এ প্রকল্পের লক্ষ্য। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১০ বছর মেয়াদি জাতীয় পুঁজিবাজার উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজেশন, উন্নত করপোরেট সুশাসন, আর্থিক প্রতিবেদন ও নিরীক্ষাকে আরো বেশি বিশ্বাসযোগ্য করা এবং বিমা খাতের উন্নয়নে বেশকিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
এডিবি বলছে, সিএমডিপি-২ প্রকল্পের মাধ্যমে যে ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে, সেটিকে আরো বিস্তৃত ও গভীর করার পাশাপাশি টেকসই পুঁজিবাজার উন্নয়নে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ২০১৫ সালে সিএমডিপি-৩ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এর মূল্য লক্ষ্যই ছিল নিয়ন্ত্রক ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে প্রকৃত সংস্কার নিশ্চিত করা। যার মধ্যে রয়েছে বিএসইসির নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি সক্ষমতা শক্তিশালী করা, বাজার মধ্যস্থতাকারীদের জন্য ঝুঁকিভিত্তিক মূলধন কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা, ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্ট ব্যবস্থার উন্নয়ন, ডিমিউচুয়ালাইজড দুই স্টক এক্সচেঞ্জে নতুন পণ্য প্রচলন, ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি) প্রতিষ্ঠা এবং বিমা খাতের সুশাসনকে শক্তিশালী করা।