টানা পাঁচ কার্যদিবস উত্থানের পর সপ্তাহের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দরপতন হয়েছে। এদিন সূচক ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। তবে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন বেড়ে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। যা এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাঁচদিন পর পুঁজিবাজাররে মূল্য-সংশোধন হয়েছে। এদিন ব্যাংক বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বেশির ভাগ খাতের শেয়ারের দাম কমেছে। তার আগে পুঁজিবাজারের তারল্য সংকট নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংক তফসিলি ব্যাংকগুলোকে ২০০ কোটি টাকা করে বিনিয়োগ করতে নির্দেশনা দিয়েছে।
পাশাপাশি আইএমএফ দেড় হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে। এই দুই খবরে গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে সূচকের সোমবার পর্যন্ত উত্থান হয়েছে। এই সময়ে বিনিয়োগকারীরা তাদের হারানো পুঁজি ফিরে পেতেও শুরু করেছে।
মঙ্গলবারও সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যদিয়ে লেনদেন শুরু হয়ে চলে সকাল ১১টা পর্যন্ত। এরপর শেয়ার বিক্রির চাপে শুরু হয় সূচক পতন যা দিনের লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো। দিন শেষে দেশে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৭ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৭৪০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএস-৩- সূচক কমেছে ৮ পয়েন্ট আর ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক কমেছে ২ পয়েন্ট।
এদিন লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছ ১৩২টির, কমেছে ১৮৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির কোম্পানির শেয়ারের। আর তাতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২১ কোটি ৩৪ লাখ ৩ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৯৭৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ২৪ কোটি ৬১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। যা এক বছর ১৯ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬০ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৪৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৭০ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৫টির, কমেছে ১৩৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির।