রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। বাজারে বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে এবং বার্মিজ পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
তবে এর ঠিক উল্টো চিত্র রয়েছে রান্নার গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি উপাদান আদা ও রসুনের। এর আগে আদা ও রসুনের দাম যেমন ঊর্ধ্বগতি ছিল তা এখনো কমেনি। চায়না থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি রসুনের দাম ১৯০ টাকা, বাংলাদেশি রসুন প্রতি কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চায়না থকে আমদানিকৃত প্রতি কেজি আদা ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ানবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতের প্রকোপ প্রায় শেষের দিকে। তবে এখনো বাজারে শীতকালীন যেসব সবজির দাম আরও কমতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে বাজারে সকল ধরনের সবজি পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি নতুন আলু ২০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, সিমের বিচি ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, বাজারে দাম কমে প্রতি পিস বড় সাইজের ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৩০ টাকা, লাউ ৬০ টাকা পিস, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা পিস, পেঁয়াজের কলি ১০ টাকা আটি বিক্রি হতে দেখা গেছে।
কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে চায়নার আদা রসুনের দাম বাড়তি রয়েছে। দেশি রসুন বাজারে আসতে শুরু করেছে। এতে রসুনের দাম কিছুটা কমতে পারে।’
বাজার করতে আসা মোহাম্মদ নুরুন্নবী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তি রাখতে ব্যবসায়ীদের অজুহাতের কমতি নেই। প্রতিদিন হু হু করে বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। এতে লাভবান হচ্ছে একশ্রেণির ব্যবসায়ীরা, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষজন।’
মাংসের বাজারে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতো মাংসের দাম একই রকম রয়েছে, বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৫০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা এবং বকরির মাংস ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৩০ টাকা, কক মুরগি ১৮০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২১০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মসলার বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ মসলার দাম বেড়েই চলেছে। প্রতি কেজি এলাচ পাঁচ হাজার টাকা, দারচিনি ৪৫০ টাকা, লং ১৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা আরেক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘রমজান আসার আগেই মসলার দাম যে হারে বেড়ে চলেছে, তাতে নতুন করে আর দাম বাড়ার কী আছে। প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে, নেই কোনো ধরনের নজরদারির ব্যবস্থা।’
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ ১৮০ টাকা, কৈ মাছ ২০০ টাকা, শিং মাছ ৫০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ টাকা, সরপুঁটি ২০০ টাকা, রুই মাছ ২৫০ টাকা, ছোট মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা মাছ ৫০০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।