আইপিওর (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) অনুমোদন ও সেকেন্ডারি মার্কেটে দরপতন হলেই আমাদের দোষারোপ করা হয়। এ নিয়ে আমরা অসহায় বোধ করছি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. খায়রুল হোসেন।
তিনি বলেন, কোম্পানির পর্ষদ, স্বতন্ত্র পরিচালক, অডিটর এবং স্টক এক্সচেঞ্জের সম্মতিপত্রের আলোকে আমরা ডিসক্লোজারের ভিত্তিতে আইপিওর অনুমোদন দেই। দেয়ার পরই আমাদের ওপর দোষারোপ করা হয়।
শুধু তাই নয়, গুজব ছড়িয়ে সেকেন্ডারি মার্কেটে দরপতন হলেও দোষারোপ করা হয়। অথচ সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ নেই। আমরা কারসাজি হলে ধরি। এসব কারণে আমরা অসহায়ত্ব বোধ করছি।
বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিএসইসির কনফারেন্স কক্ষে ‘ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্টস এনালাইসিস অ্যান্ড ডিটেকশন অব ফ্রড’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় কমিশনার, নির্বাহী পরিচালক, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, মার্চেন্ট ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ একাডেমি অব সিকিউরিটি মার্কেটিং বিভাগ (বিএএসএম) সেমিনারের আয়োজন করে।
কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো প্রটেকশন অব ইন্টারেস্ট অব ইনভেস্টর। যে অসহায় বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরত, যেভাবে তাদের বিভিন্নভাবে হররানি হতে হতো, সেগুলো অ্যাড্রেস করার উপায় তারা পেল এবং আজকে স্ট্যাস্টিটিকসের মাধ্যমে দেখলে যে ৯৫ শতাংশ সমস্যা ছিল সেগুলোকে অ্যাড্রেস করা হয়েছে। কাজেই এই মডিউলটা সৃষ্টি করে সকল স্টেকহোল্ডারদের একদিকে তাদের জবাবদিহিতার জায়গা তৈরি হয়েছে, বিনিয়োগকারীরা একটি জায়গা খুঁজে পেয়েছে। যেখান থেকে তার যে গ্রিভেনচার সেটাকে অ্যাড্রেস করা যায়।
বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, আজকে সবাইকে নিয়ে এই সেমিনার করার উদ্দেশ্য হলো সাংবাদিকরা যা বুঝে যাবে, স্টেকহোল্ডাররা যদি অন্যভাবে বুঝে তাহলে সেখানে গণ্ডগোল থেকে যাবে। কাজেই আমি চাচ্ছি আমরা সবাই একই সাথে এবং একই রকমভাবে বুঝি। একইসাথে তাদের জ্ঞান ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করা, টেকনিকগুলো তাদের আয়ত্ত করা, যাতে করে এই পুঁজিবাজারে যখন আমরা আইপিও আনি, যে বার্নিং ইস্যুটা সবার সামনে চলে আসে। এখানে অনেক জাটলারি হয়, সেগুলো যাতে তারা আইপিও আসার আগেই ধরতে পারে, তাতে করে রেগুলেটররা অর্থাৎ আমরা অনেক শক্তিশালী হবো, বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হবে এবং পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতার দিকে যাবে, শক্তিশালী হবে।
ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট অ্যানালাইসিসের ওপর কেন আমরা গুরুত্ব দিয়েছি উল্লেখ করে খায়রুল হোসেন বলেন, আমরা সাংবাদিকদের প্রাধান্য দিয়ে আজকের এই মিটিং আয়োজন করেছি। আমি বারবার বলি যে সমাজে কি ঘটছে, ক্যাপিটাল মার্কেটে কি ঘটছে, অর্থনীতিতে কি ঘটছে এগুলোকে জনগণের সামনে তুলে ধরার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো সাংবাদিক। তাদের আন্ডারস্ট্যান্ডিং যদি ক্লিয়ার থাকে, আমরা রেগুলেটররা কি বুঝি, স্টেকহোল্ডাররা কি বুঝি, সাংবাদিকরা কি বুঝে তাদেরকে শক্তিশালী করার জন্যই আজকের এই সেমিনার।