দেশের পাইকারি বাজারগুলোতে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। এ সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে সাধারণ ক্রেতার নাগালে আসতে শুরু করেছে। তবে পাইকারি বাজারে দাম কমলেও খুচরা বাজারে কমেনি।
খুচরা বাজারে এখনো দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। পেঁয়াজের দামের পাশাপাশি আদা ও রসুনের দামও কমেছে। অন্যান্য সবজি, মাছ, মাংস, ডিমের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
রাজধানীর অন্যতম বড় কাঁচা বাজার কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, দাম কমে দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি, বার্মিজ পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি, চায়না পেঁয়াজ ৬৫ টাকা কেজি এবং পাকিস্তানি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে কারওয়ান বাজারের প্রভাব পড়েনি রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে। সকাল থেকে মোহাম্মদপুর, রায়েরবাজার, ঝিগাতলা, ধানমন্ডি, ফার্মগেট ঘুরে দেখা যায়, কেজি প্রতি দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকার নিচে কেনা যাচ্ছে না। চীন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রায়েরবাজারে বাজার করতে এসেছেন রফিকুল ইসলাম। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, শুনেছি পেঁয়াজের দাম কমেছে। কিন্তু আমরা কিনতে এলে কম দামে পাই না। এখনো ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আমাদের কিছু করার নেই, দাম যাই হোক পেঁয়াজতো কিনতে হবে।গত সপ্তাহ থেকে দাম কমতে শুরু করেছে আদা ও রসুনের। এ সপ্তাহের শুরুতে আরো কমেছে। এদিন কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজি প্রতি চায়না আদা ১১০ টাকা, দেশি আদা ১৮০, কেরালার আদা ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বার্তা২৪.কমকে বলেন, পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। এ সপ্তাহে পেঁয়াজ প্রায় ৩৫-৪০ টাকা কমেছে। আগামীতে দাম কেমন হবে, তা বলা যাচ্ছে না। তবে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কেন কমেনি তা আমরা বলতে পারব না। খুচরা বিক্রেতারা বলতে পারবে। শীত শেষে বসন্ত এলেও বাজারে শীতকালীন সবজি রয়েছে। কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি নতুন আলু ২০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০, গোল বেগুন ৫০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকার ভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি আকার ভেদে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পিস। গাজর ৩০ টাকা, শসাও ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহের মত এ সপ্তাহেও মাংসের দাম একই রকম রয়েছে। মাংসের বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৭০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা এবং বকরির মাংস ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা, কক মুরগি ১৯০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি তেলাপিয়া ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা, চাষের কৈ ২০০ টাকা কেজি, শিং মাছ ৫০০ টাকা কেজি, টেংরা মাছ ৫০০ টাকা কেজি, রুই মাছ আকার ভেদে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি, ছোট মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি, পাবদা মাছ ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে কারওয়ান বাজারের সঙ্গে বাজার দরের মিল নেই অন্য বাজারগুলোতে। বাজার ভেদে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে।