করোনাভাইরাসের কারণে নির্ধারিত সময়ে ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ না করলে গ্রাহকের কাছ থেকে জরিমানা বা বাড়তি চার্জ নিতে পারবে না ব্যাংক। এরইমধ্যে কোনো ব্যাংক চার্জ আরোপ করে থাকলে গ্রাহককে তা ফেরত দিতে হবে।
শনিবার (৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। করোনাভাইরাসের কারণে ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের সব ধরনের জরিমানা মওকুফ করা হয়েছে। ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকেরা আগামী ৩১ মে পর্যন্ত এ সুবিধা পাবে। এছাড়া গত ১৫ মার্চ থেকে যাদের বিল বকেয়া হয়েছে ও এজন্য জরিমানা আরোপ হয়েছে তা আদায় করা যাবে না।
সার্কুলারে বলা হয়, অনেক ক্ষেত্রেই ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের পক্ষে প্রদেয় বিল নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ প্রেক্ষিতে গ্রাহকদের আর্থিক সামর্থ্য ও চলমান অন্যান্য সীমাবদ্ধতার বিষয়টি বিবেচনায় বিলম্ব ফি বা জরিমানা মওকুফের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এক্ষেত্রে যেসব ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকের বকেয়া বিল পরিশোধের শেষ সময় ১৫ মার্চ বা তার পরে, সেসব ক্ষেত্রে বিল নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করতে না পারলে কোনো ধরনের বিলম্ব ফি নেওয়া হবে না। আবার এই সময়ের মধ্যে কেউ বিলম্ব ফি প্রদান করলে, তা সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে পরবর্তী সময়ে তার বিলের সঙ্গে সমন্বয় করে দিতে হবে। এ নির্দেশনা ১৫ মার্চ থেকে কার্যকর হবে ও ৩১ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
এর ফলে যেসব গ্রাহকের গত ১৫ মার্চ থেকে বিল পরিশোধের সময় শুরু হয়েছে, তারা ৩১ মে পর্যন্ত বিনা জরিমানায় বিল দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্ট পর্যন্ত দেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ লাখ ৩ হাজার ৪২৭ জন। গত জুনে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৩১ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আবু ফরাহ মো. নাছের বলেন, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধ না করলেও খেলাপি না দেখানোর নির্দেশনা সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। আর ক্রেডিট কার্ডের বিল না দিলেও জরিমানা না করার বিষয়ে একটি নির্দেশনা দেওয়ার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। এরই মধ্যে কোনো ব্যাংক জরিমানা আরোপ করলে তা ফেরত দিতে বলা হতে পারে।