জাপান টোব্যাকো ইনকর্পোরেশন (জে টি) গ্রুপ বাংলাদেশের আকিজ গ্রুপকে প্রায় ১২৪.৩ বিলিয়ন বা ১২ হাজার ৪৩০ কোটি টাকার বিনিময়ে অধিগ্রহণ করছে। এজন্য জে টি গ্রুপ ও আকিজ গ্রুপের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
জে টি গ্রুপের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের তামাকের বাজার বিশ্বের অস্টম বৃহত্তম। এই বাজরের ২০ শতাংশের দখল আকিজ গ্রুপের। আকিজ বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিগারেট নির্মাতা কোম্পানি। চুক্তির ফলে আকিজ গ্রুপের তামাকের ব্যবসার মালিক এখন জে টি গ্রুপ।
জাপান টোব্যাকোর নির্বাহী সহসভাপতি মুৎসুও ইওয়াই বলেন, ‘এই বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে আমরা দ্রুত ক্রমবর্ধমান বাজারগুলোতে আমাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ প্রক্রিয়াকে আরো এগিয়ে নিতে পারব। আকিজ অধিগ্রহণের মধ্যদিয়ে আমরা বাংলাদেশের বাজারে সরাসরি দ্বিতীয় স্থানে চলে গিয়েছি।’
জাপান টোব্যাকো বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সিগারেট নির্মাতা গোষ্ঠী, যারা বিশ্বের প্রায় ১৩০ টি দেশে প্রায় ৬০ হাজার কর্মী নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে। মেভিয়াস ও উনস্টন সিগারেট তৈরির শিল্প প্রতিষ্ঠানটি সাম্প্রতিক কালে যেসব দেশে কিংবা বাজারে ধূমপানের ব্যাপক প্রচলন আছে সেখানে নিজেদের ব্যবসা সম্প্রসারণ শুরু করেছে। গত তিন বছরে রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে কোম্পানিগুলো অধিগ্রহণে ইতোমধ্যে তিন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে টোকিও ভিত্তিক এই কোম্পানিটি।
জানা যায়, জাপান টোব্যাকো ২০১৫ সালে বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করে। তাদের মতে, ২০১৭ অর্থবছরে কোম্পানিটি বাজারের মাত্র ০.১ শতাংশ শেয়ারের মালিক ছিল। অন্যদিকে নেভি, শেখ সিগারেটের ব্রান্ডগুলো দিয়ে বাংলাদেশের বাজারে আকিজের শিল্প হিসেবে বছরে ২ শতাংশ করে বৃদ্ধি পাচ্ছিল।
জাপান টোব্যাকোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এডি পিয়ার্ড বলেন, বিশ্বের অন্যতম দ্রুত ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির বাজার হল বাংলাদেশ। তাই এখানে আমরা আমাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চাই। আকিজের তামাক ব্যবসা লাভজনক কেননা তাদের পণ্য উৎপাদনের তাদের নিজস্ব পদ্ধতি, শক্তিশালী বিপণন ব্যবস্থা ও শ্রমশক্তি আছে।
জাপানের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে প্রেরিত বিবৃতিতে বলা হয়, এদিকে স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে জাপানের মোট বিনিয়োগের পরিমাণ হলো ১ হাজার ৫১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর এই একটি অধিগ্রহণেই বাংলাদেশে প্রায় ১ হাজার ৪৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জাপানি বিনিয়োগ হবে যা দেশের ইতিহাসে একটি অনন্য রেকর্ড।