আন্তর্জাতিক দর বাড়লেও বাংলাদেশে কমেছে এলপিজির দাম

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লেও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কৌশলী পদক্ষেপে দাম কমেছে এলপি গ্যাসের। ১২ কেজি এলপিজির নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪৫৫ টাকা।

অটোগ্যাস লিটার প্রতি ৬৬.৮৪ টাকা থেকে ৩ পয়সা কমিয়ে ৬৬.৮১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দর সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে বলে বিইআরসি জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিইআরসির হল রুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নভেম্বর মাসের নতুন দর ঘোষণা করেন বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।

গত মাসের তুলনায় আন্তর্জাতিক বাজারে টন প্রতি দরে বেড়েছে ১০ ডলারের মতো, আর ডলারের গড় দর ১১৯.৬৩ টাকা থেকে বেড়ে ১২০.২১ টাকায় দাঁড়িয়েছে। সে কারণে দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় কথা ছিল। কিন্তু বিইআরসি জাহাজ ভাড়া ধরে টান দিতেই গ্রাহকদের জন্য স্বস্তি মিলছে। চলতি বছরের ১০ মাসের প্রিমিয়াম কস্ট গড় বের করে টন প্রতি ১০৮ ডলার নির্ধারণ করেছে।

বিজ্ঞাপন

২০২১ সালের ১২ এপ্রিলের আগে পর্যন্ত এলপিজির দর ছিল কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন। ১২ এপ্রিল বিইআরসি কর্তৃক দর ঘোষণার সময় বলা হয় আমদানি নির্ভর এই জ্বালানি সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তি মূল্য ধরা হবে। তখন জাহাজ ভাড়া ধরা হয়েছিল ৯৫ ডলার, পরে এলপিজি আমদানিকারকদের দুই দফায় বাড়িয়ে ১২৩ ডলার করা হয়। বর্তমান কমিশন কমিয়ে ১০৮ ডলার নির্ধারণ করেছে। এতে করে আন্তর্জাতিক বাজারদর বেড়ে গেলেও বাংলাদেশে কমেছে।

২০২১ সালে দর ঘোষণার সময় বলা হয় সৌদির দর ওঠা-নামা করলে ভিত্তিমূল্য ওঠানামা করবে। অন্যান্য কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। ঘোষণার পর থেকে প্রতিমাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি। কিন্তু বিইআরসি নির্ধারিত দরে দাম পাওয়া নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।