রাজধানীসহ সারাদেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও ক্রেতাদের উপস্থিতি কমে গেছে কাঁচাবাজারে।
গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কমে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে এবং ডিমের দাম কমে প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০/৩২ টাকায়। ডিম গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা হালি।
দাম অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজের, মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই সাথে স্বাভাবিক রয়েছে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দর।
শুক্রবার (১০ এপ্রিল ) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়। বাজার ঘুরে দেখা যায়, পণ্য সরবারাহ থাকলেও ক্রেতাদের উপস্থিতি কম।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায় কোন সবজির দাম বাড়েনি। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে সব ধরনের সবজির। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি আলু ২০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা, শিম ৩০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, করোলা ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, সজনে ডাঁটা ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাউ ৫০-৬০ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাংসের বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৮০ টাকা, খাসির মাংস ৮৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম কমে বয়লার মুরগির প্রতি কেজি ১২০ টাকা, কক মুরগি ১৫০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২০০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ক্রেতা না থাকায় দাম কমেছে মাছের। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১২০ টাকা, টেংরা মাছ ৩৮০ টাকা, পাবদা মাছ ৩০০ টাকা, শিং মাছ ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মোহাম্মদপুর বাজারের মুদির দোকান ঘুরে দেখা যায়, ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে সব ধরনের চালের দামে। তাছাড়া বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। তবে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে মসুর ডাল, চিনি, আটা, ময়দাসহ অন্যান্য মুদি পণ্য।