চলতি বছরের জুলাই মাসের ৩০ তারিখ বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলস অ্যাসিস্টেন্স ফাউন্ডেশন (বিইএমএসএএফ) এবং বাংলাদেশ প্রাইভেট ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলস ফোরাম (বিপিইএমএসএফ) এর তরফ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর এর মহাপরিচালক বরাবর একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে আবেদন জানানো হয় যে, শিক্ষার্থীদের বেতন প্রদান সংক্রান্ত জটিলতায় দ্রুত কোন পদক্ষেপ না নিলে ধসে পড়তে পারে বাংলাদেশের ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষা ব্যবস্থা।
চিঠিটিতে জানানো হয়, ইংরেজি শিক্ষা মাধ্যমের স্কুলগুলো শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে এই মহামারীর মধ্যেও তাদের প্রচেষ্টা বজায় রেখেছে। রাতারাতি অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের অবকাঠামো গড়ে তোলা থেকে শুরু করে যথানুযায়ী আন্তর্জাতিক মানের পাঠ্যক্রম এই অনলাইন ব্যবস্থার অন্তর্বর্তীকরন পর্যন্ত সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। এছাড়াও স্কুলের এসে শিক্ষা কার্যক্রম বজায় না থাকলেও বিদ্যুৎ ও পানিসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত খরচ যেমন ট্যাক্স, ব্যাংক লোন, ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম প্রভৃতি প্রদান করা হয়। আর শিক্ষক ও কর্মীদের বেতন প্রদান করা হয়েছে নিয়মিত যা তাদের পরিবারদের জন্যও সহায়ক।
প্রসঙ্গত, ৫০% বেতন কমানোর দাবিতে অভিভাবকদের পক্ষ হতে আদালতে একটি রিট দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে মহামান্য আদালত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর নির্দেশ দেয় ১৫ দিনের মধ্যে এই অবস্থার সমাধান করার।
আদালতের এই নির্দেশের ভিত্তিতে পাঠানো এ্ই চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয় যে, বেতন সহজে প্রদান করার জন্য অভিভাবকদের নানাবিধ সুবিধা করে দেওয়ার প্রচেষ্টা করা হয়েছে। এমতাবস্থায় যদি স্কুলগুলোর অবস্থান বিবেচনা না করা হয়, তাহলে শুধুমাত্র স্কুলের আর্থিক অবস্থাই ঝুঁকির সম্মুখিন হবে না, চাকরি হারাতে পারেন শিক্ষক ও স্কুল কর্মীরা এবং ধসে পরতে পারে ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষা ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারীর কারণে বাংলাদেশ সরকার সরকারি তথা বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলোর জন্য বিবিধ ব্যবস্থা নিলেও, ইংরেজি মাধ্যমে স্কুলগুলো কোন প্রকার সাহায্যের আবেদন করেনি।