বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির লিখিত পরীক্ষার ফলাফল যেকোনো দিন ঘোষণা হতে পারে।
মঙ্গলবার (৪ মে) অ্যাটর্নি জেনারেল ও বার কাউন্সিল চেয়ারম্যান এএম আমিন উদ্দিন এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘করোনায় চলমান লকডাউনের মাঝে কর্মী সঙ্কট থাকায় লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে। পরীক্ষার সব খাতা জমা পড়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যেকোনো সময় ফল প্রকাশ করা হবে।’
পরীক্ষায় পাশের হার এবং দুই ধাপে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় খাতার মূল্যায়ন কীভাবে হয়েছে সে সম্পর্কে জানতে চাইলে আমিন উদ্দিন বলেন, ‘সেসব বিষয়ে এখনই মন্তব্য করা যাচ্ছে না। ফল প্রকাশের সময় বিস্তারিত জানানো হবে।’
২০১০ সাল পর্যন্ত বছরে দুটি পরীক্ষা নিত বার কাউন্সিল। তবে ২০১১ সালের পর থেকে আইনজীবীদের অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষা তিন ধাপে (নৈর্ব্যক্তিক, লিখিত ও মৌখিক) অনুষ্ঠানের বিধান করা হয়। তবে পিছিয়ে পড়ে বছরে দুটি করে পরীক্ষা নেয়ার কার্যক্রম। ফলে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজার আইন শিক্ষার্থীর জট সৃষ্টি হয়।
এদিকে, পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে প্রায় ৩ বছর পর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর প্রকাশিত হয় ফলাফল। তবে, একই বছরের মার্চে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাতে থমকে যায় জনজীবন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি কিছু সামলে ওঠার পর নৈর্ব্যক্তিকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে আইনজীবী সনদের দাবি জানান। কিন্তু সেই দাবি না মেনে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ১২ হাজার ৮৭৮ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পরীক্ষা এবং প্রশ্নপত্র কঠিন হয়েছে দাবি করে রাজধানীর ৯টি কেন্দ্রের পাঁচটিতে বিশৃঙ্খলা, হল ভাংচুর ও উত্তরপত্র ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটে। পরে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ক্ষতিগ্রস্ত কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন।
এরপর ওই ঘটনায় হওয়া একাধিক মামলায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এদিকে বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টি হওয়া পাঁচটি কেন্দ্রের পরীক্ষা পুনরায় চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১৯ ডিসেম্বরের পরীক্ষায় বিশৃঙ্খলার ঘটনায় জড়িত বা উসকানি দেয়ার অভিযোগ এনে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন বার কাউন্সিল সচিব রফিকুল ইসলাম। সেসব নোটিশের জবাবে বার কাউন্সিলের অভিযোগ সুনির্দিষ্ট নয় বলেও জবাব দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।