ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা কোর্সের মেয়াদ হ্রাসের উদ্যোগকে আত্মঘাতী হিসেবে অভিহিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-শিক্ষক পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদ। একইসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনের পরও সেই উদ্যোগ থেকে সরে না আসায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরউই) সাগর-রুনি মিলনায়তনে রোববার (০৫ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি ও নিন্দা জানানো হয়।
সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি মির্জা এ টি এম গোলাম মোস্তফা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে পরিষদের সদস্য সচিব মির্জা এ টি এম গোলাম মোস্তফা বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শনের আলোকে মানবসম্পদ উন্নয়নে যখন প্রধানমন্ত্রী নানাবিধ পরিকল্পনা নিয়ে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রসারে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, সেখানে কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ধরনের আত্মঘাতী পথে হাঁটছে তা বোধগম্য নয়। এই উদ্যোগকে বৈশ্বিক কর্মবাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার অন্তরায় হিসেবে অভিহিত করে বলা হয়, এটি দেশ ও জাতিকে পেছনে ঠেলে দেবে। চলমান উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্ত করবে এবং একসময় উন্নয়ন পরিকল্পনা মুখ থুবড়ে পড়বে।'
এ উদ্যোগ বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। এছাড়া সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে এসময় চার দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য মাসব্যাপী আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ৭ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী দাবির সপক্ষে পোস্টারিং ও লিফলেট বিতরণ, ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর চার দফা দাবি আদায়ে জেলায় সংবাদ সম্মেলন, ১২ সেপ্টেম্বর সব প্রকৌশল সংস্থায় ১ ঘণ্টা অতিরিক্ত কাজ করা, ১৫ সেপ্টেম্বর দাবি দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী সমাবেশ, মানববন্ধন ও সংশ্লিষ্ট চারটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কাছে দাবির সপক্ষে স্মারকলিপি দেওয়া, ১৮ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর জেলা শাখাগুলোতে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সভা ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেওয়া, ১ থেকে ৭ অক্টোবর দাবি সপ্তাহ উপলক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনগুলোর উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের স্মারকলিপি দেওয়া, ১১ অক্টোবর চট্টগ্রাম, ১৪ অক্টোবর সিলেট ও বরিশাল, ১৮ অক্টোবর ময়মনসিংহ ও খুলনা, ২১ অক্টোবর কুমিল্লা ও রংপুর এবং ২৫ অক্টোবর রাজশাহী ও ফরিদপুর বিভাগে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিভাগীয় কমিশনার/জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেয়া হবে।
এরপরও দাবি বাস্তবায়নে স্পষ্ট অগ্রগতি পরীলক্ষিত না হলে পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সংগ্রামপরিষদের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান খান, আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান, বাকাছাপ সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।