দেড় বছর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা

, শিক্ষা

আমিনুল ইসলাম জুয়েল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2023-09-01 10:56:40

করোনা মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ছুটতে দেখা গেছে প্রাণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে। সবার চোখে-মুখে বাঁধভাঙা আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে ভরা। প্রস্তুতি ছিলো আগে থেকেই। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ করে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। সারা দেশের ন্যায় রংপুরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পাঠদানের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। সকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত শিক্ষাঙ্গণ।

রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে এ উপলক্ষে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কান্দিরহাট স্কুল এন্ড কলেজে পাঠদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হাইফুল ইসলাম খান ইকবাল।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ থাকায় চরম ক্ষতি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কাউকে যেন আর্থিক সংকটের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়াতে না হয় সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। সকল শিক্ষার্থী যেন উৎসব মুখর পরিবেশে পড়ালেখা করতে পারে সে দিকে খেয়াল রাখা হবে। এসময় তিনি তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ এবিএম মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গভর্নিং বডির সদস্য আজিজুল ইসলাম, সহকারী প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ কুমার সরকার, সিনিয়র শিক্ষক নুরুল ইসলাম সরকার ও ঈসা খান প্রমুখ।

এদিকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, রংপুর বিভাগের প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে স্তরে ১২ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৩ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে নয় হাজার ৫৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে ১৯ লাখ শিক্ষার্থী।

অপরদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ২ হাজার ৯৬৮টি বিদ্যালয়ে ১৪ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে কাজ করছেন শিক্ষাবিভাগ। এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে কয়েক দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে গাইবান্ধায় আছে ১০২টি, কুড়িগ্রামে ৮৬টি, রংপুরে একটি, লালমনিরহাটে তিনটি ও নীলফামারীতে ১০টি।

তবে শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, কোনো বিদ্যালয়েই বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। কোনো বিদ্যালয়ের মাটি সরে গেছে, আবার কোনোটির প্লাস্টার খুলে গেছে। এ ছাড়া, ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরুপনেও কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এলজিইডির মাধ্যমে সংস্কার করা হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উপ-পরিচালক মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় খোলার প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপস্থিত হয়েছে। প্রায় দেড় বছর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় উল্লসিত শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা বেশি উল্লসিত।

এ সম্পর্কিত আরও খবর