করোনা মহামারির দীর্ঘ বন্ধের পর আজ (১ অক্টোবর) খুললো রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও প্রস্তুতি। শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড ও ভেক্সিনেশন কার্ড ছাড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না আবাসিক হলগুলোতে। অন্তত এক ডোজ ভেক্সিনেশন সম্পন্ন হয়েছে এমন শিক্ষার্থীরাই প্রবেশ করতে পারছে আবাসিক হলগুলোতে।
হলের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে নবাব সিরাজুদ্দৌলা হলের প্রোভোস্ট বার্তা২৪.কমকে বলেন, “আমরা আমাদের সবোর্চ্চ চেষ্টা করেছি হলগুলোতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে। হলগুলোর প্রবেশ মুখে রাখা হয়েছে বেসিনের ব্যবস্থা।এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এগুলো ব্যবহার করেই শিক্ষার্থীরা হলে উঠছে।এছাড়াও হলগুলোর বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কাজ করা হয়েছে। তবে যে বিষয়টি নিয়ে আমি আলাদা করে বলতে চাই তা হলো আমার হলের গণরুম ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীর বিপরীতে পর্যাপ্ত সিট না থাকায় সম্ভব হয়নি গণরুম ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার।”
হলগুলোর পরিস্থিতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার কতটুকু প্রস্তুত এমন প্রশ্নে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. খন্দকার মো. শহিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মেডিকেল সেন্টার পরিদর্শন করেছেন। এখানে দুই সিটের একটা আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও হলোগুলোতে কমিটি রয়েছে, যদিও আমি কমিটিতে নেই তবে যতদূর জানি হলগুলোতে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।তবে মেডিকেল সেন্টারের পর্যাপ্ত জনবল না থাকা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহ আসাদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, “ইউজিসির নির্দেশনা প্রাপ্তির পরে ঢাকার মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল প্রথম খুললো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশনের এমন শিক্ষার্থী বান্ধব আচরণে আমরা শিক্ষার্থী হিসেবে ধন্যবাদ জানাই। সামনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় ও শিক্ষার্থীদের সকল প্রয়োজনে শিক্ষার্থী বান্ধব সিদ্ধান্ত পাবো বলেই আমাদের বিশ্বাস।”
সামগ্রিক বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. হারুনুর রশিদ বলেন, “সিন্ডিকেট মিটিং এ আবাসিক হলগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হলগুলোর প্রভোস্টরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। সবকিছু সুন্দরভাবেই সম্পন্ন হবে বলেই মনে করি।”