রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে অবরোধ ও আন্দোলন করে আসছিল শিক্ষার্থীরা। তিন দিন হলো ভিতরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল ভিসিসহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে। অবশেষে শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে আন্দোলন শিথিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলন শিথিলের এই সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষার্থীরা। এর আগে সকাল ৮টার দিকে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। এতে শিক্ষামন্ত্রী তাদের আন্দোলন বন্ধ করার আহবান জানিয়ে তার ওপরে আস্থা রাখতে বলেন।
অর্থনীতি বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী এ.কে.এম নাজমুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ.কে.এম নাজমুল হাসান বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে ও তদন্ত কমিটির ওপরে আস্থা রেখে আপাতত সকল প্রকার অবরোধ ও আন্দোলন শিথিল করছি। তবে অফিস চলাকালীন সময়ে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো। তবে যদি আমাদের দাবি না মানা হয় সেক্ষেত্রে আমরা আবার আন্দোলনে যাবো।
অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল প্রকার পরীক্ষা স্থগিত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
রবীন্দ্র অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও তদন্ত কমিটির সভাপতি লায়লা ফেরদৌস হিমেল ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রেজারার আব্দুল লতিফ তাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি।