ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্ট বাংলাদেশ (ইউল্যাব)-এর গণমাধ্যম অধ্যয়ন ও সাংবাদিকতা বিভাগ ও ভারতের গান্ধী স্মৃতি ও দর্শন সমিতির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘Integrating Non-Violent Communication in Curriculum’ শিরোনামের অনলাইন কনফারেন্স।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) অনলাইন প্লাটফর্ম জুমের মাধ্যমে কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হয়। এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ‘অহিংস যোগাযোগ’-এর নানা দিক। সমসাময়িক সমাজে এর গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও সুইডেন থেকে অংশ নেয়া আলোচকরা। পাশাপাশি তারা যোগাযোগ, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা, পিস স্টাডিজ, উন্নয়ন যোগাযোগসহ বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের পাঠ্যক্রমে অহিংস যোগাযোগ বিষয়টি আত্ত্বিকরণের ক্ষেত্রে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
উদ্বোধনী অধিবেশনে গান্ধী স্মৃতি ও দর্শন সমিতির পরিচালক শ্রী দীপঙ্কর শ্রী জ্ঞান স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। কনফারেন্সের ধারনাপত্র উপস্থাপন করেন ইউল্যাবের গণমাধ্যম অধ্যয়ন ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক জুড উইলিয়াম হেনিলো। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন গান্ধী স্মৃতি ও দর্শন সমিতির প্রোগ্রাম অফিসার ড. বেদব্যাস কুণ্ড। অধিবেশনটি পরিচালনা করেন ইউল্যাবের গণমাধ্যম অধ্যয়ন ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও স্নাতক প্রোগ্রাম সমন্বয়ক ড. সরকার বারবাক কারমাল।
প্রথম প্লেনারি অধিবেশনে ড. বেদব্যাস কুণ্ডর সভাপতিত্বে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইউল্যাবের গণমাধ্যম অধ্যয়ন ও সাংবাদিকতা বিভাগের নন্দিতা তাবাসসুম খান ও ভারতের খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ড. রুচিতা চৌধুরী। নন্দিতা তাবাসসুম খান তার বিভাগ কীভাবে অহিংস যোগাযোগের ধারণাটি পাঠ্যক্রমে সংযুক্ত করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কাজে এর প্রতিফলন ঘটিয়েছে তা তুলে ধরেন। অন্যদিকে ড. চৌধুরী বিষয়টি পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত করার ক্ষেত্রে তার বিভাগের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
প্রফেসর জুড উইলিয়াম হেনিলোর সভাপতিত্বে দ্বিতীয় প্লেনারি অধিবেশনে বক্তব্য উপস্থাপন করেন মিরিয়াম কলেজ, ফিলিপাইন-এর ড. মারিয়া মার্গারিটা এলভিনা-একোস্টা, থাইল্যান্ডের সুকোতাই থামাথিরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. কামোলরত ইনতারাতাত ও সুইডেনের উপসালা ইউনিভার্সিটির ড. গ্রেগ সিমন্স। ড. মারিয়া পিস এডুকেশনে তার প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত ও সামগ্রিক পদেক্ষেপের নানা দিক ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। একইভাবে ড. কামোলরত থাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। ড. গ্রেগ সিমন্স ব্যক্তিগত ও সামাজিক পর্যায়ে ‘সহিংস যোগাযোগ’ (যেমন হেইট স্পিচ) প্রতিহত করতে অহিংস যোগাযোগের ব্যবহার ও কৌশল বিষয়ে আলোকপাত করেন। সবশেষে ড. সরকার বারবাক কারমাল সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে কনফারেন্সের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।