বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) এর মিডিয়া ল্যাব কর্তৃক আয়োজিত গ্লোবাল কমিউনিটি বায়োসামিট ৫.০ তে সায়েন্স কমিউনিকেশান্স নিয়ে আলোচনা করবেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ও সায়েন্স পোর্টার বাংলাদেশের কমিউনিকেশান্স মেনেজার সায়েম মো. নছরত উল্লাহ সরকার।
জীববিজ্ঞানের অন্যতম প্রসিদ্ধ বৈশ্বিক এ সম্মেলনে পৃথিবীর বিখ্যাত সব বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বায়ো কমিউনিটি লিডার, বায়ো হ্যাকারসহ জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রের অবিস্মরণীয় অবদান রাখা তরুণ লিডাররা অংশগ্রহণ করবেন।
চলতি বছরের ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত এই সম্মেলনটি চলবে। ২০১৭ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হওয়া এ সম্মেলনে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ২-৩ জন অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে থাকেন। কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারীর কারণে গত বছরের ন্যায় এ বছরও সম্মেলনটি অনলাইনেই সম্পন্ন হবে।
সায়েম সরকার বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেল জেনেটিক্স ও প্লান্ট বায়োটেকনোলজি ল্যাবে গবেষক হিসেবে কর্মরত আছেন। সায়েন্স কমিউনিকেশনসহ বিজ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্রে তার উল্লেখযোগ্য অবদান তাকে বৈশ্বয়িক এ প্রসিদ্ধ সম্মেলনে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে।
তিনি ইতোপূর্বে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ক্লাব ও হায়ার স্ট্যাডি ক্লাবের ডিপার্ট্মেন্ট এম্বাসেডর ও পরে হায়ার স্টাডি ক্লাবের রিসার্চ এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ করেছেন। এ ছাড়াও তিনি বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক মানের হ্যাকিং কম্পিটিশন JU-CTF 2019 এর প্রশ্ন প্রণয়ন টিমের প্রধান ছিলেন। সায়েম সরকার ট্রান্সলেটরস উইদাউট বর্ডারস (টিডব্লিউবি), জাবি বায়োটেক ক্লাব সহ অন্যান্য অনেক সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন। জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সাইট কোরাতে তার পাঠক রয়েছে মিলিয়নেরেও বেশি। বিজ্ঞান বিষয়ক তার বিভিন্ন লেখা স্পেনিশ ও রুশ সহ নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
সায়েম সরকারের AIEDGE নামে একটি স্টার্টাপও রয়েছে। AIEDGE হেলথ কেয়ার ও রিসার্চে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ নিয়ে কাজ করছে।
বায়োসামিটে অংশগ্রহণ সম্পর্কে সায়েম সরকার বলেন এটা গ্লোবাল লিডারস ও চেঞ্জ মেকারদের দারুন একটি কমিউনিটি। এখানে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। আমি আমার আলোচনায় অবাদ তথ্য প্রযুক্তির যুগে গুজব কিভাবে কোভিড-১৯ এর মতো বৈশ্বিক মহামারীকে প্রলম্বিত করতে পারে এবং তার বিরুদ্ধে সায়েন্স পোর্টার বাংলাদেশের মতো সংগঠন কিভাবে সায়েন্স কমিউনিকেশানের মাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে এবং রেখেছে তা নিয়ে আলোকপাত করব।
উল্লেখ্য, সায়েন্স পোর্টার বাংলাদেশ একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান যা বিজ্ঞানকে তৃণমূল পর্যায়ে জনপ্রিয় করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষে তারা নিয়মিত বিশ্বের প্রতিযশা বিজ্ঞানীদের নিয়ে সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও ট্রেনিং সেশানের আয়োজন করছে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে।