বিশেষ বিবেচনায় দেশের ৯১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করেছে সরকার। এরমধ্যে ৩৫টি নিম্ন-মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাড়াও ১১টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ২৩টি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজসহ সাতটি ডিগ্রি কলেজ রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক-৩ শাখা থেকে পৃথক পাঁচটি প্রজ্ঞাপনে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার তথ্য জানা যায়।
যুগ্ম সচিব জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এসব প্রজ্ঞাপনে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেশকিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির এই আদেশ মঙ্গলবার থেকেই কার্যকর হবে।
গত বছরের ৬ জুলাই ২ হাজার ৭১৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেয় সরকার। তারও আগে ২০১৯ সালে ২ হাজার ৬৩৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়। এছাড়া ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল।
সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করে বলছেন, ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার এসব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করেছে। এক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর কোনো শর্তই মানা হয়নি। কেবল রাজনৈতিক বিবেচনায় যাচাই-বাছাই ছাড়াই এসব তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে এ তালিকায় ছিল না কোনো মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান ।
এমপিও হলো মাসিক বেতন আদেশ কাঠামো। এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকার থেকে প্রতি মাসে বেতনের মূল অংশ ও কিছু ভাতা পেয়ে থাকেন। বাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা এ আর্থিক সুবিধা পান না। এ জন্য বেসরকারি স্কুল-কলেজ পর্যায়ে এমপিওভুক্ত করার বিষয়টি আলোচিত হয়ে আসছে।