গাইবান্ধায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসৎ উপায়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধভাবে পরীক্ষা দেওয়া পরিক্ষার্থীসহ এতে জড়িত ৩৫ জনকে আটক করেছে র্যাব।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে পরিক্ষা চলাকালীন সময়ের মধ্যে জেলার বিভিন্ন কেন্দ্র ও স্থান থেকে তাদেরকে আটক করে র্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের সদস্যরা। দুপুরে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১৩ গাইবান্ধার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (এএসপি) মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল ব্যবহার করে পরীক্ষা দেওয়ার সময় ৩৫ জন পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের কাছ থেকে ২২ টি মাস্টার কার্ড, ১৯ টি ব্লুটুথ ডিবাইস, ১৬ টি মোবাইল ফোন এবং ব্যাংক চেক উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় তিনি আরও জানান,পরিক্ষার্থীসহ আটককৃতদের বিষয়ে বিকেল ৩ টায় সংবাদ সম্মেলনেরর মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এক ঘণ্টার এ পরীক্ষা (এমসিকিউ) চলে বেলা ১১টা পর্যন্ত। প্রথম ধাপে রংপুর, সিলেট, বরিশাল বিভাগের ১৮ জেলায় একযোগে পরীক্ষার হলে বসেন চাকরিপ্রার্থীরা।
জেলাগুলো হলো, রংপুর, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার। এসব জেলায় মোট কেন্দ্র ৫৩৫টি আর পরীক্ষার কক্ষ ছিল আট হাজার ১৮৬টি।
প্রথম ধাপের পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন চাকরিপ্রার্থী। এ ধাপে বরিশাল, রংপুর ও সিলেট বিভাগের ৭২ উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী- ৩ বিভাগের সরকারি প্রাথমিকে শূন্য পদ রয়েছে দুই হাজার ৭৭২টি। সেই হিসাবে প্রতি পদের বিপরীতে লড়ছেন ১৩০ জন। তবে কোটা সুবিধার কারণে নারী প্রার্থীরা নিয়োগের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন।