পঞ্চগড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টায় ৩ নারীসহ ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলার সদর উপজেলার আলাদা আলাদা ৬টি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়। বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায়।
বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আটককৃতরা হলেন- পঞ্চগড় জেলার বোদা পৌরসভার নগরকুমারী এলাকার ওমর ফারুকের স্ত্রী রাবেয়া সুলতানা (২৯), একই উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের তাসের পাড়া এলাকার মোজাহারুল ইসলামের স্ত্রী মাসুমা বেগম মনি (২৪) ও উপজেলার লক্ষিপাড়া এলাকার আনন্দ রায়ের ছেলে ভাস্কর রায় (৩২), সদর উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের খালপাড়া এলাকার শুকুর আলীর ছেলে নুরুজ্জামান (৫৫), একই উপজেলার সাতমেড়া ইউনিয়নের নুনিয়াপাড়া এলাকার আতাউর রহমানের স্ত্রী উম্মে সুবাহ সাদিয়া (২৭), দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রিগঞ্জ ইউনিয়নের আদর্শপাড়া এলাকার ফজলুল ইসলামের ছেলে কবির হোসেন (৩০), আটোয়ারী উপজেলার তোড়িয়া ইউনিয়নের নিতুপাড়া এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান।
জানা গেছে, আটকদের মধ্যে পরীক্ষায় কানের মধ্যে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করা তিনজন নারীসহ ৪ জন, মোবাইল ব্যবহার করার অপরাধে ২ জন ও পরীক্ষায় সহায়তা করার অভিযোগে ১ জনসহ মোট ৭ জনকে আটক করা হয়। এঘটনায় জড়িতদের আসামি করে পঞ্চগড় সদর থানায় বাদী হয়ে পঞ্চগড় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম মন্ডল মামলা দায়ের করবেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে আটককৃত সবাই থানা হেফাযতে রয়েছে।
নুরুজ্জামান ওই মাদ্রাসার হিসাবরক্ষক পদে দায়িত্বে রয়েছেন। জানা গেছে, তিনি মাদ্রাসায় পরীক্ষার আগে প্রবেশ করতে যাওয়ার সময় দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা তল্লাশিতে তার পকেটে থাকা এক পরীক্ষার্থীর প্রবেশ পত্রের ফটোকটি পেয়ে তাকে আটক করে।
আরও জানা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপে পঞ্চগড় জেলা শহরের মোট ২৪ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে একযোগে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ১২ হাজার ৬৫০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯ হাজার ৯৫৫ জন উপস্থিত এবং ২ হাজার ৬৯৫ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।
পঞ্চগড় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম মন্ডল বলেন, ‘আমরা একযোগে ২৪টি কেন্দ্রে পুলিশসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে পরীক্ষা গ্রহণ করি। প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা কর্ম তৎপরতার সাথে পরীক্ষা গ্রহণ করেন। এরপরেও ৭ জনকে বিভিন্ন অপরাধে আমাদের দ্বায়িত্বরত কর্মকর্তারা তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।