নতুন কারিকুলামের মূল্যায়ন শেষে প্রয়োজন সাপেক্ষে পরিবর্তন আসবে। এটা কোন স্থায়ী বিষয় নয়, সেখানে পরিবর্তন অবশ্যই আসবে বলে জানিয়েছেন নবনিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে অফিস করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। আগে তিনি এই মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ছিলেন, নতুন মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।
তিনি বলেন, কারিকুলাম নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে, কারিকুলাম তো হঠাৎ করে আসেনি। সেটা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। সে আলোচনা সমালোচনাগুলো মাথায় রেখেই দুর্বলতা থাকলে মূল্যায়নের জায়গায় একটা আলোচনা আছে মূল্যায়নটা যাতে এমন না হয় সেটা প্রতিবন্ধকতা হিসেবে পরিণত হয়। সেগুলো বিবেচনা করেই আমরা আগামী দিনগুলোতে শিক্ষা পরিবারের সবাইকে নিয়ে কাজ করব।
কি ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে। ধারাবাহিক মূল্যায়নের কাজগুলোও শুরু হয়েছে। সেখানে কাজ করতে গিয়ে দেখা যাবে যে পদ্ধতি আমরা ইতিমধ্যে শিক্ষাবিদগণ, কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ নির্ধারণ করেছেন সেটার মধ্যে যদি কোন সমস্যা থাকে সেটা আমরা এখন দেখতে পাবো। তো দেখতে পেলে আমরা আগেও বলেছি, যে এটা স্থায়ী কোন বিষয় নয়। সেখানে পরিবর্তন প্রয়োজনে অবশ্যই আসবে। তা আগেও বলা হয়েছে এখনো আমি বলছি। পরিবর্তন প্রয়োজন সাপেক্ষে অবশ্যই আসবে।
তিনি বলেন, শিক্ষায় নানান ধরনের রূপান্তরের কাজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা সূচনা করেছি। এই সূচনার কাজগুলোর পেছনে কিন্তু আমাদের পূর্বে যিনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, এখন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, তিনি সেই ভিতগুলো রচনা করে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার সব কাজের মধ্যে একটা ধারাবাহিকতা থাকতে হয়। সুতরাং এখানে নতুন করে, কোন কিছু চিন্তা করার অবকাশ খুবই কম। তাই সেই ধারাবাহিকতার মধ্যেই রূপান্তর, ধারাবাহিকতার মধ্যেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে। এই ধারাবাহিকতার মধ্যেই স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করার জন্য স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম আমাদের প্রয়োজন সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করব।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের বলে দিয়েছেন বিশাল জনগোষ্ঠী, বিদ্যালয় পর্যায়ের শেষ করতে তাদের অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। প্রায় এক কোটির ঊর্ধ্বে। বিশাল জনগোষ্ঠী যারা উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনা করতে যাচ্ছে, এই যে বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব জায়গাতেই তাদেরকে কর্ম সংশ্লিষ্ট যেসব দক্ষতা রয়েছে, সেগুলো যাতে ন্যূনতম সকলকে দিতে পারি। কর্মসংশ্লিষ্ট দক্ষতাগুলোর বিষয়ে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাদের বিশেষ জোর দিতে বলেছেন। কারণ এবারে আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার হচ্ছে কর্মসংস্থান। স্মার্ট সিটিজেন গড়তে হলে কর্মসংস্থান করতেই হবে এবং কর্মসংস্থানের জন্য মাল্টি স্ক্রিল স্মার্ট সিটিজেন আমাদের খুব প্রয়োজন। আর এর ঊর্ধ্বের ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার ওপর জোর দিতে বলা হয়।